শুভেন্দু অধিকারীর ডাক এবার রাজ্যের দুইমন্ত্রীকে! তৃণমূলকে ভাঙতে কলকাতার সঙ্গে হাওড়াকেও নিশানা
১৯ জানুয়ারি তিনি একাই বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) অনেক বড় জায়গা নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন। যোগাযোগও আছে বেশ। ফলে দক্ষিণ কলকাতায় সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে আছে বলে, রাজ্যের
১৯ জানুয়ারি তিনি একাই বিজেপিতে (bjp) যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) অনেক বড় জায়গা নিয়ে কাজ করতে ভালবাসেন। যোগাযোগও আছে বেশ। ফলে দক্ষিণ কলকাতায় সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত হয়ে আছে বলে, রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীকে কাছে টানার ইঙ্গিত দিলেন। তাঁর ইঙ্গিত থেকে স্পষ্ট আগামী দিনে একাধিক মন্ত্রীকে বিজেপিতে সামিল হতে দেখা যেতে পারে।
মমতাকে চিঠি আপ্লুত অমর্ত্য সেনের! সমর্থনে খুশি, মুখ্যমন্ত্রীকে জানালেন শুভেচ্ছা
সরকারের ক্ষমতা কুক্ষিগত কলকাতায়
শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, তৃণমূলের ২২ জন সাংসদের ১১ জনের বাড়ি কলকাতায়। অন্যদিকে ৪০ জন মন্ত্রীর ১৮ জনের বাড়িও সেখানে। মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পঞ্চায়েতমন্ত্রী, নগরোন্নয়নমন্ত্রীও কলকাতার। তিনি প্রশ্ন করেছিলেন, তাহলে কি তাঁরা বানের জলে ভেসে এসেছেন, প্রশ্ন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এ লড়াই গ্রামের লড়াই, এই লড়াই জেলার লড়াই বলে মন্তব্য করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
নাম না করে দুইমন্ত্রীকে বার্তা
বেশ কিছুদিন ধরে বেসুরো রাজ্যের দুই মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধন পাণ্ডে। নাম না করে এই দুজনকেই টার্গেট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই দুই মন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, উত্তর কলকাতাকে বলব সঙ্গ দিন, কেননা উত্তর কলকাতার বাঠখারা মন্ত্রী পেয়েছে। পাশাপাশি তিনি হাওড়াকেও সঙ্গ দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ৫০০ বছরের প্রাচীন শহর সঙ্গ দিন। এই শহর সমবায় মন্ত্রী পেয়েছে, আবার বনমন্ত্রীও পেয়েছে।
বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়
বেশ কিছুদিন ধরেই বেসুরো রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অনুপস্থিত থেকেছেন তিনি। দলের কাজ নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ শুরু করতেই কলকাতা, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে নিয়ে পোস্টার পড়ে। ডোমজুড়েও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে পোস্টার পড়ে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে টানানো পোস্টারের নিচে লেখা ছিল দাদার অনুগামী। পরবর্তী সময়ে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভফ কমাতে ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে একাধিক বৈঠক করেন তিনি। তবে বৈঠক নিয়ে খোলসা করেননি তিনি। বলেছিলেন, তাঁকে ডাকা হয়েছিল, তাই তিনি গিয়েছিলেন।
বেসুরো সাধন পাণ্ডে
বেসুরো রাজ্য মন্ত্রিসভার অপর সদস্য সাধন পাণ্ডেও। আম্ফানের পর সুর চড়িয়ে তিনি বলেছিলেন সতর্ক করা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছিল পুরসভা। এর আগে কলেজে ভর্তি নিয়েও সরব হয়েছিলেন তিনি। গতমাসেই সাধন পাণ্ডের সঙ্গে ব্যাপক ঝামেলা হয়েছিল পাশের কেন্দ্রের বিধায়ক পরেশ পালের সঙ্গে। সাধন পাণ্ডে তোলাবাজি নিয়ে একদিকে যেমন পরেশ পালকে আক্রমণ করেছিলেন, পাল্টা পরেশ পাল সাধন পাণ্ডেকে টাটাদের দালাল বলে কটাক্ষ করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে সাধন পাণ্ডের মূল্যায়ন ছিল, সিনিয়র হলেও রাজনীতিতে তাঁকে এগিয়ে রাখতে কোনও আপত্তি নেই। শুভেন্দু অধিকারীকে ভাল ছেলে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।