১৪ তলা নড়াতে সিঙ্গুর থেকেই নবান্ন অভিযানের ডাক শুভেন্দুর, সিঙ্গুর জুড়ে শুধুই কাশফুল! কটাক্ষ সুকান্তের
একদিকে যখন বিজেপি শাসিত রাজ্যে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলছেন মমতা, অন্যদিকে বাংলায় কৃষকদের বঞ্চনা নিয়ে সরব বঙ্গ বিজেপি। যে সিঙ্গুরে কৃষকদের দাবি দাওয়া সামনে রেখেই লড়াই করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন সেই জায়গাকেই
একদিকে যখন বিজেপি শাসিত রাজ্যে দাঁড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধেই আওয়াজ তুলছেন মমতা, অন্যদিকে বাংলায় কৃষকদের বঞ্চনা নিয়ে সরব বঙ্গ বিজেপি। যে সিঙ্গুরে কৃষকদের দাবি দাওয়া সামনে রেখেই লড়াই করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো এদিন সেই জায়গাকেই কৃষক আন্দোলনের জন্যে বেছে নেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা।
বাংলায় কৃষকরা ব্রাত্য! একাধিক দাবি তুলে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনকে তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ-শুভেন্দু অধিকারীরা। একই সঙ্গে কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি।
এদিন সিঙ্গুর আন্দোলনকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি নেতারা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কৃষকদের স্বার্থের কথা তুলেই ক্ষমতায় এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু দেওয়া কথা কি রেখেছেন তিনি? রাখেননি।
এমনকি তৃতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে চেয়ারে বসেও বাংলার কৃষকদের কথা মনে পড়েনি তাঁর। নিম্নমানের বীজ, সারের চড়া দামে কৃষকদের অবস্থা শোচনীয়। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছে সব। ক্ষেতে জল জমে আলু চাষিদের মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছে। কিন্তু সেদিকে কোনও খেয়াল রাখেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তোপ বিরোধী দলনেতার।
এমনকি ক্ষমতায় ফিরেও টাস্ক ফোর্স নিয়েও কোনও বৈঠক হয়নি বলে দাবি তাঁর। চারপাশ জুড়ে কালোবাজারি হচ্ছে বলেও অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বক্তব্যে একাধিক বিষয়কে তুলে ধরেন। বলেন, কেন্দ্র কৃষকদের স্বার্থে একগুচ্ছ সুবিধা নিয়ে এসেছে। কিন্তু বাংলার কৃষকরা সেই সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত বলে দাবি নন্দীগ্রামের বিধায়কের। আর সেখানে দাঁড়িয়েই সিঙ্গুর অভিযানের ডাক দেন তিনি। বলেন, সিঙ্গুর থেকেই নবান্ন অভিযান করুন। নবান্নের ১৪ তলা নড়াতেই হবে। নবান্নের ১৪ তলা না নড়ালে আমাদের অন্নদাতারা বাঁচবে না বলে দাবি তাঁর।
তবে শুভেন্দুর আশঙ্কা এই অভিযান আটকানোর চেষ্টা হবে। সাঁতরাগাছিতে আটকে দেওয়া হবে। কিন্তু থামলে হবে না। সমস্ত বাধা কাটিয়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে এগিয়ে যেতে হবে বলে হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতার।
অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, সিঙ্গুরের চাষিদের কি দিতে পেরেছেন। শুধু জমিটা ফেরত দিতে পেরেছেন। আর সেখানে আজ কাশফুল হচ্ছে। সরষে ছড়িয়ে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কত সরষে হয়েছে তা কেউ যানে না। আর তাই কৃষকদের স্বার্থে আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতির।
অন্যদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, সিঙ্গুর সহ বাংলায় কৃষকরা হাহাকার করছে। আর দেশের কৃষক আন্দোলনের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছেন। এখন আবার গোয়াতে যাচ্ছেন। নজর নেই বাংলার দিকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের।