রিগিং নিয়ে তৃণমূলের অতীতের গোপন রেকর্ড ফাঁস শুভেন্দুর, বললেন গণতন্ত্রের কথা মমতার মুখে মানায় না
নন্দীগ্রামে দ্বিতীয় দফার ভোটে সারাদিন যা চলল তাতে ফের একবার বাংলায় ভোটে শান্তিশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে বাধ্য। অনেকে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তৃণমূল সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে ছাপ্পা, রিগিংয়ের অভিযোগ এনেছে। দিনের শেষে কমিশন তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে গোলমাল করার অভিযোগ তুলেছে। তবে দিনের শেষে সবচেয়ে বড় বোমা ফাটালেন নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি অভিযোগ করেছেন, কীভাবে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগে ১৬টি ইভিএম মেশিন কাউন্টিং করাতে না দিয়ে আসন জিতে নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরামবাগে রিগিং ২০১৯ সালে!
শুভেন্দু সংবাদসংস্থা এএনআইকে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, গণতন্ত্রের কথা ওনার (পড়তে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) মুখে মানায় না। বাংলার সব মানুষ জানেন কীভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর গুন্ডাবাহিনী নির্বাচন করায়। শেষ লোকসভা নির্বাচনে আরামবাগে আড়াই হাজার ভোটে বিজেপি প্রার্থীকে হারানো হয়েছে ১৬টি ইভিএম কাউন্টিং না করিয়ে। ডিএম, এসডিওকে চাপ দিয়ে একাজ করানো হয়েছিল।
জোর করে বিজেপিকে হারানো!
শুভেন্দু আরও মারাত্মক অভিযোগ করে বলেছেন, ঝাড়গ্রাম এবং পুরুলিয়া জেলা পরিষদ বিজেপি পেয়ে গিয়েছিল। মাঝরাতে ২টোর সময় পুলিশ দিয়ে ব্যালটে যত পদ্মছাপ ছিল সেগুলোকে পাল্টে জোড়াফুলে বদলে দেওয়া হয়েছিল। আমি সেদিন সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তাই গণতন্ত্রের কথা ওনার মুখে মানায় না।
গণতন্ত্রের কথা মানায় না তৃণমূলের মুখে!
এদিন তৃণমূল তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফে রিগিংয়ের অভিযোগ তোলা হয়েছে নন্দীগ্রামে। এমনকী বহিরাগত গুন্ডা এনে রাজ্যে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে। তারই পাল্টা শুভেন্দু সরাসরি পুরনো গোপন তথ্য ফাঁস করে তৃণমূলকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।