'নিঃসঙ্গ'ই থাকল এবার বিজেপির মণ্ডপ! EZCC-তে দেখাই গেল না একাধিক সাংসদ-বিধায়ককে
'নিঃসঙ্গ'ই থাকল এবার বিজেপির মণ্ডপ! EZCC-তে দেখাই গেল না একাধিক সাংসদ-বিধায়ককে
যেভাবেই হোক বিজেপি দুর্গাপুজো করবেই! কলকাতায় রাজ্য দফতরে বসে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। হল ঠিকই। কিন্তু পিছু ছাড়াল না বিতর্ক। আর তাই নমো নমো করেই পুজো সারল বঙ্গ বিজেপি। শুধু তাই নয়, এবারেই যে পুজো শেষ তাও ঘোষণা করে দিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর পুজো বন্ধ নিয়ে তাঁর দাবি, অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। আর এহেন মন্তব্যকে যদিও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসকদল তৃণমূল।
জাঁক জমক ভাবে এই পুজোর উদ্বোধন হয়
২০২০ সালে এই পুজো শুরু হয়। বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের মধ্যে সবাইকে একজোট বার্তা দিতেই শুরু হয় পুজো। একই সঙ্গে বাঙালি সেন্টিমেন্টকেও ধরার চেষ্টা করেন তৎকালীন মুকুল-কৈলাশরা। একেবারে ভার্চুয়ালের মাধ্যমে এই পুজোর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। একেবারে জাঁক জমক ভাবে এই পুজোর উদ্বোধন হয়। কিন্ত্য বিজেপির পুজো করা নিয়ে সেই সময় থেকেই বিতর্ক শুরু হয়। দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক নেতাই এই পুজো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
দেখা যায়নি দিলীপ-লকেটকে
যা এই বছরও পিছু ছাড়েনি। এই বছর ইজেডসিসিতে বঙ্গ বিজেপির দুর্গাপুজো হয়। এবার তৃতীয় বছরে পড়ল এই পুজো। মিঠুন চক্রবর্তীকে সামনে রেখে এবার বড়সড় পুজো করতে চেয়েছিল। এমনকি সবাইকে একজোট করার মরিয়া চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্ত্য একাধিক সাংসদ এবং বিধায়ক এবার ওই পুজোমুখী হয়নি। পুজো মণ্ডপে পা রাখেননি দিলীপ ঘোষ। যদিও এই পুজো নিয়ে প্রথম দিন থেকেই বিরোধীদের দলে ছিলেন তিনি। ফলে তিনি যে থাকবেন না তা কার্যত স্পষ্ট ছিল। দেখা যায়নি লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও। যিনি অন্যান্য পুজোতে মেতে থাকলেও জেডসিসিতে আসেননি।
ছিলেন না মিঠুনও
অন্যদিকে বিজেপির অন্যতম বড় মুখ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার একাধিক পুজো উদ্বোধন করেছেন। বিভিন্ন জায়গাতে ঢাক বাজাতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্ত্য সেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির পুজোতে দেখা যায়নি। এমনকি দেখা যায়নি মিঠুন চক্রবর্তীকেও। কার্যত পুজোর উদ্বোধন কে করবে তা নিয়েও একটা জটিলতা তৈরি হয়। যদিও শেষমেশ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরেই উদ্বোধন হয় পুজো। তবে সব সময়ে পুজোর সবদিকে নজর রেখেছেন অগ্নিমিত্রা পাল।
পুজোর আয়োজনে ভাটাই কারণ?
এই অবস্থায় আগামী বছর পুজো না করার সিদ্ধান্ত বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, প্রতি বছর পুজো করতে ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে যায়। এই বিশাল খরচ জোগাড় করা খুব মুশকিল। কিন্ত্য এই পুজো বন্ধ নিয়ে অন্য কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। একদিকে এই পুজো নিয়ে বারবার বিতর্কের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। আর এর মধ্যেই সামনে লোকসভা নির্বাচন। আর তার আগে কোনও বিতর্ক চায় না বিজেপি। আর সেটাই অন্যতম কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপির ফল আশানুরূপ হয়নি। ফলে পুজোর আয়োজনে ভাটা পড়েছে। সেভাবে আর কেউ উৎসাহ দেখাচ্ছে না। ফলে সব কিছু ভেবেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ছবি সৌ:ফেসবুক