উগ্র হিন্দুত্ববাদকেই অস্ত্র করছেন শুভেন্দু থেকে দিলীপ, বুমেরাং হতে পারে একুশের কুরুক্ষেত্রে
শুভেন্দু থেকে দিলীপ উগ্র হিন্দুত্ববাদকেই অস্ত্র করছেন, বুমেরাং হতে পারে একুশের কুরুক্ষেত্রে
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর খুল্লামখুল্লা হিন্দুত্বের প্রচারে নেমে পড়েছে বিজেপি। আর কোনও রাখঢাক না করই দিলীপ-শুভেন্দুরা টার্গেট করছেন হিন্দুদের ৭০ শতাংশ ভোট ব্যাঙ্ককে। মুসলিমদের ৩০ শতাংশ ভোটব্যাঙ্ক তাঁরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনছেন না। শুভেন্দু বিজেপিতে যাওয়ার পর থেকেই উগ্র হিন্দুত্বকেই আশ্রয় করেছেন।
একুশে হিন্দু ভোট কায়েম করতে বিজেপির পরিকল্পনা
রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, শুভেন্দুকে এনে তাঁরা প্রয়োজনীয় অঙ্ক লাভ করে ফেলেছে। এখন আর সংখ্যালঘু ভোট তাঁদের দরকার নেই। আর তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে মিম আছে। ফলে তাঁরা যদি হিন্দুত্বের ধব্জা উপরে তুলে আরও হিন্দু ভোট কায়েম করতে পারে তবে একুশে কাজ হাসিল করতে কোনও অসুবিধাই হবে না।
নন্দীগ্রামে বজরং দলের সভায় শুভেন্দুর উগ্র হিন্দুত্ববাদ
শুভেন্দু অধিকারী আসার পর তাঁর মধ্যে এই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। শুভেন্দুর সঙ্গে অনেক মুসলিম ভোটার ছিলেন। তাঁদেরকে আর সেভাবে আমল না দিয়ে হিন্দু ভোট পেতেই তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। শুভেন্দু নন্দীগ্রামে বজরং দলের সভায় যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে নিজেকে হিন্দু ব্রাহ্মণের সন্তান বলে দাবি করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সরব হন।
১০ দিনের মধ্যেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী হয়ে গেলেন শুভেন্দু!
তৃণমূলে থাকাকালীন শুভেন্দুকে কোনওদিন এমন ভূমিকায় দেখা যায়নি। আজ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার ১০ দিনের মধ্যেই উগ্র হিন্দুত্ববাদী হয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। শুভেন্দু যখন বজরং দলের সভায়, তখন গড়বেতায় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের ডাকে বিরাট হিন্দু সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। দিলীপ নিজেকে হিন্দু সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে যোগ দিয়েছেন।
শুভেন্দুর মুখে এমন স্পষ্ট ধর্ম-কথা আগে শোনা যায়নি
শুভেন্দু বজরংবলির পুজোয় গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে তিনি আবার মিছিল করেছেন। শোভাযাত্রার নামে মিছিল করে তিনি নিজেকে সনাতন হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী বলে তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। বলছেন, আমাদের ব্রাহ্মণ পরিবার। সকালে স্নানের পর গায়ত্রীমন্ত্র জপ করে আমরা বাড়ি থেকে বেরোই। শুভেন্দুর মুখে এমন স্পষ্ট ধর্ম-কথা আগে শোনা যায়নি।
৩০ যদি ওঁদের থাকে, বাকি ৭০ শতাশ তো সব পদ্মফুলে
শুভেন্দু প্রশান্ত কিশোরের সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে ভোট অঙ্কের ব্যাখ্যা তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, কে একজন এসেছেন বাইরে থেকে। কী নাম কিশোর কুমার নাকি, একটা ন্যাশনাল চ্যানেলে বলেছেন, ৩০ হামারা রিজার্ভ হ্যায়। মাননীয় কুমার, ওই ৩০ শতাংশ কারা। ৩০ যদি ওঁদের থাকে, বাকি ৭০ শতাশ তো সব পদ্মফুলে।
তৃণমূলের হিন্দু ভোট ভাঙিয়ে আনাই বিজেপির উদ্দেশ্যে
শুভেন্দুর ওই ভাষ্য থেকে স্পষ্ট, ৭০ শতাংশ হিন্দু ভোটেই পাখির চোখ তাঁদের। ২০২১-এ পুরোপরি হিন্দুত্ব অ্যাজেন্ডাকে গুরুত্ব দিয়ে তাই ময়দানে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু-দিলীপসহ বিজেপির রাজ্য নেতারা। তৃণমূলের হিন্দু ভোট ভাঙিয়ে আনাই তাঁদের এখন একমাত্র উদ্দেশ্যে। তাই ৭০ শতাংশ হিন্দু জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে ভোটের লড়াইয়ে নামছে বিজেপি। থাকছে বুমেরাংয়ের সম্ভাবনাও।
শান্তনুর সিএএ-লড়াই কোন অভিমুখে, ২০২১-এর আগে স্পষ্ট বার্তা মুকুলকে পাশে নিয়েই