মমতাকে ৫০ হাজার ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর, লড়াই নন্দীগ্রাম বনাম কালীঘাটের
শুভেন্দু অধিকারীর ডেরা নন্দীগ্রাম থেকে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই মমতার ডেরা থেকে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা দিলেন ৫০ হাজার ভোটে হারাব মুখ্যমন্ত্রীকে। নির্বাতনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হলেন শুভেন্দু অধিকারী।


যেই দাঁড়ান না কেন আধ লাখ ভোটে হারাব
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বিজেপি নন্দীগ্রামে আমাকেই প্রার্থী করুক বা অন্য কাউকে। আমি কথা দিতে পারি, যেই দাঁড়ান না কেন আধ লাখ ভোটে হারাব। মাননীয়াকে যদি না হারাতে পারি, রাজনীতিই ছেড়ে দেব। সোমবার রাসবিহারী মোড়ের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে পাল্টা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।

মাননীয়ার দলের সঙ্গে বিজেপির পার্থক্য
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমি আগে যে দলটা করতাম, সেটাকে এখন আর পার্টি বলি না। সেটা একচা কোম্পানি হয়ে গিয়েছে। দেড় জনের ওই দলে মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বা তাঁর ভাইপো যখন-তখন প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু আমি এখন যে দলটা করি, সেটা একটা শৃঙ্খলিত পার্টি, সেখানে এসব হয় না। এটাই মাননীয়ার দলের সঙ্গে বিজেপির পার্থক্য।

হায়দারবাদের পার্টির সঙ্গে তুলনা তৃণমূলের
শুভেন্দু কটাক্ষ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ভোট এলে পাঁচ বছর অন্তর একবার করে নন্দীগ্রামে যান। এবারে ভোট এসেছে নন্দীগ্রামে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে চমক দেওয়ার চেষ্টা করেছেন নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করে। সাতটা জেলা থেকে ৩০ হাজার লোক জড়ো করেছে নন্দীগ্রামে। হায়দারবাদের একটা পার্টি আছে, নন্দীগ্রামে সেই পার্টিটার সভা বলেই মনে হচ্ছিল আজ।

বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি গিয়েছেন, সুবিধা হবে
শুভেন্দু মমতাকে নিশানায় বলেন, দেড় জন নেতা আছে দলে। তাই নিজেই লড়েন ২৯৪টিতে। ২৯৪টিতে অবজার্ভার তিনি। এবার নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আমি বলি, কাছাকাছি চলেই গিয়েছেন। সামনেই বঙ্গোপসাগর। আর একদিকে রূপনারায়ণ। আপনাকে গণতান্ত্রিক ভাবে ছুড়ে ফেলে দিতে এবার সুবিধাই হবে।
নন্দীগ্রামে মমতার বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী কে, ইঙ্গিত করলেন মুকুল রায়