বিধানসভায় হাতাহাতি, সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ক
বিধানসভায় হাতাহাতি, সাসপেন্ড বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ পাঁচ বিজেপি বিধায়ক
রামপুরহাট কাণ্ডে তুলকালাম কাণ্ড। হাতাহাতির জেরে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আরও পাঁচ বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করা হয়েছে। নরহরি মাহাত, মনোজ টিগ্গা, দীপক বর্মন, শঙ্কর ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী এই পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
সাসপেন্ড শুভেন্দু সহ পাঁচ বিধায়ক
রামপুরহাট ইস্যুতে তুলকালাম রাজ্য বিধানসভা। বিধায়কদের মধ্যে হাতাহািত, মারপিট। কিল-ঘুষি চড়। ভাঙল চশমা। ওয়েলে নেমে নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে বিধানসভায় সাসপেন্ড প্রস্তাব পেশ করেন ফিরহাদ হাকিম। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করে সাসপেন্ড করা হয় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ৫ বিজেপি বিধায়ককে। সেই তালিকায় রয়েছে নরহরি মাহাত, শঙ্কর ঘোষ, দীপক বর্মন, নরহরি মাহাতকে।
বিধানসভায় তুলকালাম
রামপুরহাট ইস্যুতে আজ ফের উত্তাল হয়ে উঠেছিল রাজ্য বিধানসভা। রামপুরহাট ইস্যুতে আলোচনার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই বিধানসভায় বিক্ষোভ এবং ওয়াকআউট চালিয়ে যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার তা চরমে ওঠে। বিধানসভার ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। তাই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের সঙ্গে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। শেষে হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছে যায় বিক্ষোভ। অভিযোগ বিজেপি বিধায়করা তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কদের মারধর করে। এমনকী শুভেন্দু অধিকারীও মারধর করেছেন বলে অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অসিত মজুমদারের নাক ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রক্তারক্তি পরিস্থিতি বিধানসভায়।
রামপুরহাট ইস্যুতে তৎপরতা
রামপুরহাট ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করে প্রথম দিন থেকেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল। পর পর ২ দিন এই ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠেিছল রাজ্য বিধানসভা। এই নিয়ে তোলপাড় আন্দোলন শুরু হয়েছে। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিধায়করা। স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে কাগজ ছোড়াও হয় বলে অভিযোগ। যতক্ষণ না রামপুরহাট ইস্যুতে বিধানসভা আলোচনা হবে ততক্ষণ তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
দিলীপের হুঁশিয়ারি
এই নিয়ে আবার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি তীব্র নিশানা করে বলেছেন এর লড়াই হবে। রামপুরহাট ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি রামপুরহাট কাণ্ড নিয়ে সুর চড়িয়েছেন এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতোর চরম পর্যায়ে গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস অভিযোগ করেছে বিজেপি সিবিআইকে তদন্তে প্রভাবিত করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই নিয়ে বিজেপিকে নিশানা করেছে।