কার স্বার্থে মধ্যরাতে ঢাকঢোল পিটিয়ে জিএসটি চালু, মোদীকে তোপ সূর্যকান্তের
এই নরেন্দ্র মোদীই একদিন জিএসটি-র বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন। অথচ সেদিন করের চাপ কম ছিল। আজ সেই মোদীই জিএসটি চালু করতে বদ্ধপরিকর।
বড় ব্যবসায়ীরা ঠিক ছাড় পেয়ে যাবেন। জিএসটি চালুর ফলে মার খাবেন ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষেরাই। বিপুল করের বোঝা চাপবে দেশের সাধারণ মানুষের উপর। হুগলির চুঁচুড়ায় এক সমাবেশে শনিবার সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বিজেপিকে এক হাত নিয়ে বলেন, 'মধ্যরাতে ঢাকঢোল পিটিয়ে জিএসটি-র সূচনা হল। অথচ এই নরেন্দ্র মোদীই একদিন জিএসটি-র বিরোধিতায় সরব হয়েছিলেন।'
সূর্যকান্তবাবু প্রশ্ন তোলেন, সেদিন করের চাপ কম ছিল। অথচ বিজেপি জিএসটি-র তীব্র বিরোধিতা করেছিল। আজ সেই বিজেপিই কেন জিএসটি চালু করতে বদ্ধপরিকর? কী স্বার্থ লুকিয়ে রয়েছে বিজেপির? সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বলেন, 'পণ্য পরিষেবা করের অর্থ হল, 'একটা সরল কেন্দ্রীভূত ব্যবস্থা, যা চালু হলে করের ভার কমবে, রাজ্যও তার অংশ পাবে।'
তাঁর কথায়, 'কিন্তু যে জিএসটি চালু হল, তাতে সাধারণ মানুষের ছাড় পাওয়া তো দূর অস্ত, জটিল একটা কর ব্যবস্থায় নাজেহাল হতে হবে সাধারণকে। এই জিএসটিতে করের হার অনেক বেশি। সবথেকে বেশি ছাড় পাবেন ব্যবসায়ীরা। অর্থাৎ ব্যবসায়ী স্বার্থ সুরক্ষিত হবে। সঙ্কটে পড়বেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের উপর করের বোঝা চাপবে।'
তিনি আরও বলেন, 'জিএসটি চালু করার ব্যাপারে আদৌ তৈরি নয় সরকার। কোনও পরিকাঠামোই গড়ে তোলা হয়নি দেশে। এ জন্য আইনের বিধি চালু করতে হয়, প্রযুক্তির সাহায্য দরকার হয়। সেসব না করেই জিএসটি চালু করে একটা জটিল ধাঁধার আবর্তে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশবাসীকে। ফলে নৈরাজ্য তৈরি হবে দেশজুড়ে। এর বিরুদ্ধে একযোগে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন তিনি। এদিন পাহাড় নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করেন সূর্যকান্তবাবু।