শেখ দিলদার হত্যায় প্রশাসনের 'টার্গেটে' বিরোধীরাই! গ্রেফতার ৪
সিউড়ির কড়িধ্যায় শেখ দিলদারকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চার বিজেপি নেতা-সমর্থককে গ্রেফতার করল সিউড়ি থানার পুলিশ। একইসঙ্গে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
সিউড়ির কড়িধ্যায় শেখ দিলদারকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চার বিজেপি নেতা-সমর্থককে গ্রেফতার করল সিউড়ি থানার পুলিশ। একইসঙ্গে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত চারজন বিজেপি কর্মীকে বুধবার সিউড়ি আদালতে তোলা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন বিচারক।
দিলদার তুমি কার। এই বিতর্ক এখনও মেটেনি। তবে শেখ দিলদারের বাবা ফরিদ খানের করা এফআইআরের ভিত্তিতে সিউড়ির কড়িধ্যা থেকে গ্রেফতার করে হয়েছে ৪ বিজেপি নেতা-সমর্থককে। ফরিদ খান অভিযোগ করেছিলেন কড়িধ্যার বিজেপি নেতা শ্যামসুন্দর গড়াইয়ের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা বিজেপি সমর্থকরা হামলা চালিয়েছিল তার ছেলেন ওপর। যদিও এই গ্রেফতারের ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের কাউকেই পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয় পুলিশের তরফ থেকে। গ্রেফতার করা হয় শ্যামসুন্দর গড়াইকে। একইসঙ্গে এলাকার আরও তিন বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
ধৃতদের বিরুদ্ধে বেআইনি জমায়েত, খুন, ষড়যন্ত্র, অস্ত্র মামলায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে সিউড়িতে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শেখ দিলদারের। মৃত্যুর পর ফরিদ খান জানিয়েছিলেন, শ্যামসুন্দর গড়াইয়ের সঙ্গেই ছিলেন তার ছেলে শেখ দিলদার। হামলা চালিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে বদলে যায় সেই বয়ান। অভিযোগ করেন, শ্যামসুন্দর গড়াইয়ের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা বিজেপি হামলাকারীদের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তার ছেলের।
সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে সিউড়ি ব্লক অফিসের দিকে যেতে শুরু করে বিজেপির প্রার্থী ও সমর্থকরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময় বাধা দেয় ব্লক অফিসের কাছেই ঘাঁটি গেড়ে থাকা তৃণমূল সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের বোমাগুলির লড়াই।
দুপক্ষের লড়াইয়ে যথেচ্ছ বোমাগুলি ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। দুপক্ষের হাতেই বোমা ও অস্ত্র ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
বোমার আগুনে এলাকার বেশ কিছু দোকান ও বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। সামনে পুলিশ থাকলেও, তারা কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।