ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা আসন নিয়ে কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে ঘোর চিন্তায় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবারই দেশের শীর্ষ আদালতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে, এমনটাই স্থির ছিল।
রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে ঘোর চিন্তায় নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবারই দেশের শীর্ষ আদালতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে, এমনটাই স্থির ছিল। কিন্তু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আসন নিয়ে মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় রায়দান হবে বুধবার। ফলে আরও একটা দিন অপেক্ষা করতে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভবিষ্যৎ জানতে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে নির্বাচন কমিশনকে ভর্ৎসনা করে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে, বেশ কিছু জেলায় মনোননয়ন নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, মনোনয়ন দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তবু সেইসব জায়গায় মনোনয়ন পেশের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি কমিশন।
বিস্ময় প্রকাশ করে বিচারপতি জানান, পঞ্চায়েতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের সংখ্যাটা ৩৪ শতাংশে পৌঁছত না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ওই ৩৪ শতাংশ আসনে ভোটের নির্দেশও দিতে পারে বলে আশঙ্কায় রয়েছে খোদ কমিশনই। তবে কমিশন এবার আটঘাট বেঁধেই আইনি যুদ্ধে নেমেছে। বিগত কয়েকটি মামলা থেকে শিক্ষা নিয়েই তাঁরা এবার মুখোমুখি শীর্ষ আদালতে।
এর আগে সিপিএমের দায়ের করা মামলায় ই-মেলে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে বৈধ বলে রায় দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ১০ মে হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্টে।
[আরও পড়ুন:ছুটির মেয়াদ বাড়াচ্ছে মমতার সরকার! রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ফের সুখবর ]
এবার লড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ৩৪ শতাংশ আসন নিয়ে। এই ৩৪ শতাংশ আসনে ফল ঘোষণার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে বাকি নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনের নিন্দা করে জানিয়ে দেয় রায়দান করা হবে বুধবার।
এখন বুধবারের সুপ্রিম-রায়ের দিকেই তাকিয়ে রাজ্য। দেশের শীর্ষ আদালতে পঞ্চায়েত মামলার গতিপ্রকৃতি যা, তাতে ফের পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে বাকি আসনে। তা হলে, নৈতিক জয় হবে বিজেপি-সহ বিরোধীদেরই। ধাক্কা খাবে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্য সরকার তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও।
[আরও পড়ুন: 'এনকাউন্টারে'র পর বদলার বার্তা, হাসপাতালে 'টিএমসি-রেজিস্টার' খুলতে বললেন বিজেপি নেতা]