দায় নিতে হবে কলকাতা পুলিশকে! অভিষেককে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ নিয়ে একাধিক প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee) কয়লা পাচার মামলায় ইডি (ED) দিল্লিতে বারে বারে ডেকে পাঠাচ্ছে
তৃণমূলের (Trinamool Congress) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Rujira Banerjee) কয়লা পাচার মামলায় ইডি (ED) দিল্লিতে বারে বারে ডেকে পাঠাচ্ছে। তবে কেন তাঁদেরকে কলকাতায় জেরা করা হবে না, তা নিয়ে দিল্লির হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ অভিষেক। এদিন সুপ্রিম কোর্টে ইডির আইনজীবী এব্যাপারে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
কেন কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদ নয়
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে এদিন সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কলকাতায় ঠিকানা রয়েছে। কয়লা পাচার মামলাতেই রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতার বাড়িতে গিয়ে জেরা করেছিল সিবিআই। তাই ইডির কলকাতায় গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে আপত্তি কোথায়? এব্যাপারে তিনি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ নং ধারার কথা উল্লেখ করেন। পাল্টা ইডির আইনজীবী বলেন, ফৌজদারি আইনের ১৬০ নম্বর ধারা পুলিশের তদন্তের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ইডির জন্য নয়। এছাড়াও এই বিধি শুধুমাত্র ১৫ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সে ক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সুবিধা চাইতে পারেন না।
সিবিআই অফিসারদের ঘেরাওয়ের উদাহরণ
এব্যাপারে ইডির আইনজীবী অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এসভি রাজু বলেন, এর আগে কলকাতায় সিবিআই আধিকারিকদের ঘেরাও করার উদাহরণ রয়েছে। এছাড়াও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ। এব্যাপারে আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। আদালতের প্রশ্নের জবাবেই সিবিআই-এর তরফে বলা হয়েছিল, কেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কলকাতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদে রাজি নয়।
দায় নিতে হবে কলকাতা পুলিশকে
ইডির আইনজীবীর উদ্বেগ প্রসঙ্গে, আদালত বলে এব্যাপারে কলকাতা পুলিশকে সহায়তা করার জন্য তারা নির্দেশ দিতে পারেন। যদি তাতে তারা ব্যর্থ হয়, তাহলে কলকাতা পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য সরকারকেও ঘটনার দায় নিতে হবে। আদালত বলেছে, এব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭২ ঘন্টা আগে সহায়তার জন্য আবেদন করতে হবে।
অভিযুক্ত না প্রত্যক্ষদর্শী
পাশাপাশি
সর্বোচ্চ
আদালতের
তরফে
প্রশ্ন
রাখা
হয়,
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
অভিযুক্ত
হিসেবে
না
প্রত্যক্ষদর্শী
হিসেবে
ডাকা
হয়েছে।
কেননা
ইডির
তরফে
পরিষ্কার
করা
হয়নি
তারা
অভিযুক্ত
হিসেবে
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়কে
সমন
জারি
করেছে
কিনা।
এব্যাপারে
অতিরিক্ত
সলিসিটর
জেনারেল
এদিন
জানিয়েছেন,
এব্যাপারটি
স্পষ্ট
করতে
তাদের
সময়
দেওয়া
হোক।
এরপরেই
সর্বোচ্চ
আদালতের
তরফে
আগামী
মঙ্গলবার
পর্যন্ত
এই
মামলায়
স্থগিতাদের
দেওয়া
হয়।
একইসঙ্গে
বলা
হয়েছে
এই
সময়ের
মধ্যে
আবেদনকারীর
বিরুদ্ধে
কোনও
ব্যবস্থা
নেওয়া
যাবে
না।
অর্জুন সিং-এর বাড়ির সামনে বোমা, NIA-এর জালে তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে