পাহাড়ে ফের বাহিনী-সংঘাত, এবার কার নির্দেশে এমন সিদ্ধান্ত
দার্জিলিং থেকে ফের সরানো হচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী। কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মুহূর্তে পাহাড়ে থাকা ৮ কোম্পানির মধ্যে ৪ কোম্পানি বাহিনী সরানোর অনুমতি দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
দার্জিলিং থেকে ফের সরানো হচ্ছে আধা সামরিক বাহিনী। কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মুহূর্তে পাহাড়ে থাকা ৮ কোম্পানির মধ্যে ৪ কোম্পানি বাহিনী সরানোর অনুমতি দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
দার্জিলিং অশান্ত হওয়ার পর থেকে সেখানে ১৫ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী ছিল। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৭ কোম্পানি বাহিনী সরানো হয়।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ফের বাহিনী নিয়ে ছিল শুনানি। সেখানে কেন্দ্র জানায় গুজরাতের ভোটের জন্য বাহিনীর প্রয়োজন। সেজন্য পাহাড়ে থাকা ৮ কোম্পানির মধ্যে ৪ কোম্পানি বাহিনী তোলার অনুমতি দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
অক্টোবর মাসে কেন্দ্রের তরফে অভিযোগ ছিল, পাহাড়ে বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হচ্ছে। যে কাজ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিয়ে করানো হচ্ছে, সেই কাজ হোমগার্ডরাও পারেন বলে জানানো হয়েছিল।
বাহিনী
প্রত্যাহার
নিয়ে
কেন্দ্রের
সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে
হাইকোর্টে
রাজ্য
সরকার
আবেদন
করলে
হাইকোর্ট
স্থগিতাদেশ
দেয়।
এরপর
হাইকোর্টের
সিদ্ধান্তের
বিরুদ্ধে
সুপ্রিম
কোর্টে
যায়
কেন্দ্র।
যদিও
বাহিনী
বিতর্ক
শুধুমাত্র
আদালতেই
সীমাবদ্ধ
থাকেনি।
রাজনৈতিক
তরজাও
শুরু
হয়
বিষয়টি
নিয়ে।
কেন্দ্রীয়
বাহিনী
তুলে
নেওয়ার
কেন্দ্রের
সিদ্ধান্ত
অমানবিক
এবং
অসাংবিধানিক
বলে
ব্যাখ্যা
করেন
মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি
অভিযোগ
করেন,
বাংলা
ভাগে
ইন্ধন
দিতেই
বিজেপি
পার্টি
অফিসের
মদতে
এই
সিদ্ধান্ত
কেন্দ্রের।
অন্যদিকে,
রাজ্য
বিজেপি
নেতৃত্ব
দার্জিলিং
থেকে
বাহিনী
প্রত্যাহারে
সায়
দিয়েছিল।
এর আগের দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে গেলেও রাজ্যের সেরকম কোনও অসুবিধা হয়নি। কেননা পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরে গেলে সেই জায়গায় পাঠানো হয় রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের বিশেষ দক্ষ বাহিনীকে। তবে বাহিনী নিয়ে রাজনৈতিক তরজা যে আবারও শুরু হতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এর আগে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে সাত কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সরানোর সময়, সেখানে সিআইএফ, স্ট্র্যাকো, ইএফআর-এর মতো রাজ্য পুলিশের বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত বাহিনীকে পাঠানো হয়েছিল। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, দার্জিলিং-এর পরিস্থিতি আপাত শান্ত হলেও, পরিস্থিতিকে হাল্কা ভাবে নেওয়া হচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রে খবর, পাহাড়ে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে ছিলেন প্রায় ২০০ জন সিআইএফ জওয়ান। গত মাসে ৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী তোলার পর সিআইএফের আরও বেশ কয়েকটি ইউনিটকে সেখানে পাঠানো হয়।