নদীর করালগ্রাসে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত গ্রামের পর গ্রাম, পুজোর মুখে ভাঙনের ছবি
পুজোর মুখে নদীবাঁধ বেঙে প্লাবিত হল গোসাবা ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। ভরা কোটালে প্রবল জলোচ্ছ্বাসের জেরেই দুই নদীর সংযোগস্থলের বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে যায় নদীর জলে। প্রশাসন তড়িঘড়ি সুন্দরবনের সারসা ও কোরানখালি নদীর বাঁধে ভাঙন রোখার কাজে নেমেছে।

যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতি
দুই নদীর জলে গোসাবা ব্লকের কুমীরমারি, ভাঙনঘাটা, বৈদ্যপাড়া, মাঝের পাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে যায়। জোয়ারের জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধানের জমি, পুকুরের মাছ। জোয়ারের জলে এই নদীবাঁধ ভাঙার পর রাতেই স্থানীয় গ্রামবাসী ও সেচ দফতরের কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বাঁধ মেরামতিতে নামেন।

নদীর জলে গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ভরা কোটালের জেরেই নদী বাঁধে ফাটল ধরে, তারপর বাঁধ ভেঙে গ্রামের পর গ্রাম ডুবে যায়। জলোচ্ছ্বাসে ৫০০ বিঘা জমির ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে গিয়েছে। প্রায় শ-খানেক পুকুরে লবণাক্ত জল ঢুকে মিষ্টি জলের মাছ মারা গিয়েছে।

পুজোর আগেই প্লাবন সুন্দরবনে
পুজোর আগেই প্লাবন সমস্যার আবার সমস্যায় সুন্দরবনবাসী। দুটি নদীর জল একসঙ্গে ঢুকে পড়ায় সমস্যা বেড়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই নদীর সংযোগস্থলে বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মেরামতির কাজেও সমস্যা হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কোটাল কমতেই মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে।

পাকাপাকি ভাঙন রোধের দাবি
যে সমস্ত এলাকায় জল ঢুকে প্লাবনের সৃষ্টি হয়েছে, সেই এলাকার মানুষকে সরিয়ে্ নিরাপদ জায়গায় আনা হয়েছে। ফ্লাড রেসকিউ সেন্টারে রাখা হয়েছে অনেককে। বন্যাদুর্গতদের ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই বন্যায় প্রায় ৩০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দাবি উঠেছে, শুধু নদীবাঁধ মেরামতি করলেই হবে না, পাকাপাকি ভাঙন রোধের ব্যবস্থাও করতে হবে।

প্রতীকী ছবি
দুর্গাপুজোর সমস্ত খবর, ছবি, ভিডিও দেখুন এক ক্লিকে
দুর্গাপুজো রায়ে সামান্য পরিবর্তন, পুনর্বিবেচনার আর্জিতে কী জানাল কলকাতা হাইকোর্ট