আম্ফান দুর্নীতি এড়াতে কড়া পদক্ষেপ সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে, টাকা ফেরত দিলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা
আম্ফান দুর্নীতি এড়াতে কড়া পদক্ষেপ সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে, টাকা ফেরত দিলেন পঞ্চায়েত সদস্যরা
অধিকাংশ জায়গাতেই রাজ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে আমফানের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ গ্রামবাসীদের। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে এই অভিযোগেই গ্রামে গ্রামে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে গ্রামবাসী বনাম প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরা। কিন্তু অন্য চিত্র দেখা গেল সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এড়াতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার পর সুন্দরবনে আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা ফেরৎ দিলেন পঞ্চায়েত সমিতির পূ্র্তের কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্যরা।
জানা গিয়েছে,সুন্দরবনের হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে আম্ফানের ক্ষতিগ্রস্থদের টাকা তুলে নেওয়ার ভয়াবহ অভিযোগ উঠলো। স্থানীয় গ্রামবাসী সাফুরা বিবি ও মোশারফ গাজী বলেন হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ গাজী ও স্বরূপ প্রামাণিক, সাণ্ডেলেরবিল গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সহ ৫ জন নিজের নাম ও পদ ব্যবহার করে কুড়ি হাজার টাকা করে তুলে নিয়েছেন। তাদের অ্যাকাউন্টে সেই অর্থ জমাও পড়েছে।
গ্রামবাসীদের দাবি, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরা এই অর্থ পাচ্ছে না। তৃণমূলের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা টাকা না পেয়ে দোতলা একতলা পাকা বাড়িতে থাকা বেশ কিছু মানুষকে দলের পক্ষ থেকে সেই টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে পাল্টা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিঙ্গলগঞ্জের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ও পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ শহিদুল্লাহ গাজী সহ দলের পাঁচজন। তারা বলেন আমাদের তৃণমূল দলের একটা অংশ চক্রান্ত করে এই প্রতারণায় আমাদের নাম ঢুকিয়ে দিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরে গিয়ে দেখি ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকে গেছে। আম্ফানের ক্ষতিগ্রস্তের টাকা সঙ্গে সঙ্গে আমরা ফেরত দিয়েছি। শহীদুল্লাহ্ বাবু বলেন, তৃণমূল দলের একটা অংশ আমাদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমে আমাদের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে টাকা ঢুকে ছিল সেইটা আমরা ফেরত দিয়ে দিয়েছি। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা পরিষদের শিক্ষা ও তথ্য-সংস্কৃতির কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজী বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আম্ফানের টাকা তছরুপ করলে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে এবং গ্রামবাসীদের অভিযোগ সঠিক কিনা সেটা বিচার করে দেখা হবে। তৃণমূলের প্রভাবশালীরা এই ঘটনায় জড়ানোয় সুন্দরবনের মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।