বিজেপির পদ থেকে ইস্তফা, বাবুলের মতো সুমনও কি চললেন তৃণমূলে! মন্তব্যে জল্পনা
বিজেপির পদ থেকে ইস্তফা, বাবুলের মতো সুমনও কি চললেন তৃণমূলে! মন্তব্যে জল্পনা
বিজেপিতে মাইনাস মানেই কি তৃণমূলে প্লাস! সেটাই হয়ে আসছে, অন্তত বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের পরে। ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রাক্কালে আবার এক নক্ষত্রের পতন হল বিজেপিতে। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগ করলেন। তিনি বিজেপিতে মাইনাস হওয়ার পর তৃণমূলে প্লাস হবেন কি না, তা বলবে ভবিষ্যৎ। আপাতত তিনি বলছেন, পদ ছাড়লেও দল ছাড়ছেন না।
পদ ছাড়লেও দল ছাড়বেন না সুমন
এদিন বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্যপদের পাশপাশি সাংস্কৃতিক আহ্বায়কের পদ থেকেও ইস্তফা দিলেন অভিনেতা সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কার্যালয়ে এসে রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পদত্যাগ পত্র তুলে দেন। তিনি জানান, পদ ছাড়লেও দল তিনি ছাড়বেন না। তিনি বিজেপির সঙ্গেই আছেন।
প্রচারকের তালিকায় ছিলেন, প্রচারে ছিলেন না
ভবানীপুরের তারকা প্রচারকের তালিকায় ছিলেন সমুন বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের সমর্থনে প্রচারে যাননি। প্রচারে না যাবার কারণ হিসেবে তিনি নিজের ব্যস্ততার কথা তুলে ধরেন। তবে সেইসঙ্গে দলের শীর্ষনেতাদের উপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশও করেন।
হয়তো আমাকে প্রয়োজন ছিল না ওনাদের, আক্ষেপ
সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায় এদিন অন্যসুর শোনা যায়। তিনি বলেন, দলের শীর্ষনেতারা প্রচারে ছিলেন। ওনারা হয়তো আমাকে ডাকতে ভুলে গিয়েছেন। হয়তো আমাকে প্রয়োজন ছিল না ওনাদের। এরপর তিনি একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের জীবনে হাতপাখার প্রয়োজন হয় না। এসি আছে, ফ্যান আছে। কিন্তু যখন লোডশেডিং হয়ে য়ায়, তখন হাতপাখার প্রয়োজন হয়।
তৃণমূলের দিকে পা বাড়ানোর আভাস রয়ে গিয়েছে
সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথাতেই স্পষ্ট, তিনি দলের ব্যবহারে খুশি নন। তবে তিনি দল ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছেন। নেতা নন, তিনি কর্মী হয়েই থাকবেন বিজেপির পাশে। ভবিষ্যতে কী হবে, তা ভবিষ্যৎই জানে। এই ভবিষ্যতের কথায় আবার তৃণমূলের দিকে পা বাড়ানোর আভাস রয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মত।
দলে যখন পরিবর্তনের হাওয়া, তখনই ইস্তফা
ইতিমধ্যে রাজ্য বিজেপিতে নতুন রাজ্য সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন। দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে রাজ্য বিজেপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আর তারপর থেকেই দলে রদবদলের জল্পনা শুরু হয়েছে। অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার তলবে দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বর্তমান ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিরা। সঙ্গে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীও দিল্লি গেলেন।
বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে, পদ্মশিবিরের ফাটল
অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার সঙ্গে বৈঠকে তাঁরা সংগঠনিক রদবদল নিয়েই কথা বলবেন। নেতাদের দায়িত্ব অদলবদল তো হবেই সেইসঙ্গে অনেক নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে পদ থেকে। উত্তরবঙ্গ থেকে অনেকে সুযোগ পেতে পারেন রাজ্য কমিটিতে। তার আগেই যেভাবে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে, তাতে পদ্মশিবিরের ফাটল তীব্র হচ্ছে।
বাবুলের মতে সুমনও যে যাবেন না, তা বলা যায় না
কিছুদিন আগেই বাবুল সুপ্রিয় রাজনীতি ছেড়েছিলেন। সাংসদ পদ রখে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন তাঁর একমাত্র দল বিজেপি, তিনি তৃণমূল বা অন্য কোনও দলে যাবেন না। কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি যেভাবে তৃণমূলে যোগ দিলেন, সুমন বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও যে তা ঘটবে না, তা আগাম বলা যায় না।
ছবি সৌ:টুইটার
Recommended Video