তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বাচাল নেতা’ কুণাল ঘোষ, কুরুচিকর নিশানা বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের
তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বাচাল নেতা’ কুণাল ঘোষ, কুরুচিকর নিশানা বিজেপির সুকান্ত মজুমদারের
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে বাচাল নেতা বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কুণাল ঘোষকে একহাত নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের মহানেত্রী সম্পর্কে কোনওরকম কুরুচিকর মন্তব্য করেননি। কুণাল ঘোষ শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছেন।
সুকান্ত মজুমদার কুণাল ঘোষকে একহাথ নেন অখিল গিরির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুকর্মু সম্বন্ধে অশালীল অঙ্গভঙ্গিতে কুরুচিকর মন্তব্য করা নিয়ে। সুকান্ত বলেন, আদিবাসী সম্প্রদায়ের একজন রাষ্ট্রপতি হয়েছেন। আমাদের দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতি। তাঁর সম্বন্ধে যেভাবে অঙ্গভঙ্গি করে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছে, তারপর সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন নিজে মুখ খুলছেন না।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ে মুখ না খুলে, সাড়ে তিন বছরের জেল খাটা একটা বাচাল লোককে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ খোলার জন্য। উল্লেখ্য, অখিল গিরির রাষ্ট্রপতিতে নিয়ে কটূ মন্তব্যের পর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছিলেন দল অখিল গিরির ওই মন্তব্যকে কোনওভাবেই সমর্থন করে না। তবে অখিল গিরিকে বারবার ইন্ধন নিয়ে এই কথা বলতে বাধ্য করা হয়েছে। একজন বাবার বয়সী নেতাকে শুভেন্দু অধিকারী বারবার কাকের মতো দেখতে বলে কটাক্ষ করে গিয়েছেন। তার ফলেই রাগের বশবর্তী হয়ে তিনি রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করে ফেলেছেন।
কুণাল ঘোষ বলেন, আমরা কেউ অখিল গিরির ওই কথা সমর্থন করি না। দল তার দায়ও নেবে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভাষায় অপমান করা হয়েছে, যে সুরে মোদীজি দিদি ও দিদি বলে কটাক্ষ করেছেন, শুভেন্দু বেগম বলেছেন, তারপর কেন মহিলাদের প্রতি অপমান বলে আওয়াজ তোলেনি বিজেপির নেতারা।
এরপরই সুকান্ত কুণাল ঘোষকে বাচাল বলে কটাক্ষ করেন। সুকান্তকে তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বিজেপি তরফ থেকে যে বারবার বলা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের বাচাল লোক, সেটা কি কুরুচিকর নয় রাজনীতিতে? সেই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস যে রাজনীতি শুরু করেছে, তাতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে ধরে ধরে মারধর করছে না, সেটাই বড় কথা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস তো বারবার বলছে অখিল গিরির মন্তব্যকে আমরা সমর্থন করি না। পাল্টা যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, এগুলো সব কুযুক্তি। আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ খুলুন।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অখিল গিরির মন্তব্য নিয়ে এফআইআর করা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় এফআইআর নিচ্ছেন না পুলিশ। সেক্ষেত্রে কী বলবেন, আমাদের বেলায় এফআইআর হয় না, আর তৃণমূলের বেলায় হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর নামে পর্যন্ত এফআইআর করা হয়েছে। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে এভাবে অপমান করা হচ্ছে, জনগণ কি ছেড়ে দেবে? এরপর দেখবেন তৃণমূলের হয়ে জনগণ রাস্তায় নামবে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলে বাড়বে কোন্দল, ভবিষ্যৎবাণী মিলিয়ে নেওয়ার বার্তা সুকান্তের