
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচার লড়াইয়ে ব্যস্ত, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে খোঁচা সুকান্তের
"মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নিজেকে বাঁচানোর আর সরকার বাঁচানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তিনি এখনও প্রস্তুত নন। সেই কারণেই এত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করতে চাইছে না রাজ্যের তৃণমূল সরকার। যখনই নির্বাচন হোক বিজেপি প্রস্তুত। নির্বাচন হোক বুঝতে পারবেন তৃণমূলের কী অবস্থা হয়।"

আলিপুরদুয়ারে জেলা পার্টি অফিসের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, এখন ভোট করতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল সরকার। তবে যখনই ভোক করুক আমরা তৈরি। আর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করুন বুঝতে পারবেন পরিস্থিতি।
রবিবার আলিপুরদুয়ার মধ্যযপাড়াতে বিজেপির নতুন জেলা কার্যালয়ের ভূমিপুজো অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিয়েও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, মুখ্য মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেও বাঁচবেন না।
তাঁর কথায়, কেন্দ্রের টাকা আদায় করার ক্ষমতা মুখ্যমন্ত্রীর নেই। সেটা বিজেপির বিধায়করাই আনার ব্যবস্থা করেছে। ঘরের টাকা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাকা। প্রধানমন্ত্রী ১১ লক্ষ বাড়ি তৈরির টাকা দিয়েছেন, কলার ধরে বাড়ি আদায় করুন। তৃণমূলের একজনকেও কোনও টাকা দেবেন না।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, কেন্দ্র থেকে টাকা এলে তার হিসেব তো চাইবেই। কেন্দ্রীয় সরকার যে টাকা পাঠাচ্ছে, সেটা জনগনের খরচ করার জন্য টাকা। সেই টাকা চুরি করে কোন বান্ধবীর ফ্ল্যাটে রাখার জন্য নয়। এদিন সুকান্ত মজুমদার এক হাত নেন তৃণমূলের মন্ত্রীদেরও। একইসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করতে তিনি ভোলেননি।
তিনি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিস কন্সেপশন নিয়ে আছেন। জেনে রাখবেন, বিজেপি জনপ্রতিনিধি নিয়ে চলে না। জনপ্রতিনিধিরা বিজেপির একটি অংশ। কয়েকজন বিধায়ককে দলে জয়েন করিয়েও বিজেপিকে রোখা যায়নি। এর আগেও ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহরুর মতো মহারথীরা চেষ্টা করেছেন, পারেননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো একটি ব্যাঙাচি মাত্র, তিনিও পারবেন না।
এদিন ঝালদা পুরসভা নিয়ে মন্তব্য করেন, কয়েকদিন পর কংগ্রেসই দখল করবে ঝালদা পুরসভা। তৃণমূল নির্লজ্জ, নাক কান কাটা সরকার। তাই জনগণ হারিয়ে দিয়েছে, কোর্টে হেরে যাচ্ছে, তাও লজ্জা হচ্ছে না। আবার কোর্টে যাচ্ছে, থাপ্পড় খাচ্ছে। আবার কোর্টে যাবে, দু'গালে দুটো থাপ্পড় খাবে। ভাইপো দুটো, পিসি দুটো করে থাপ্পর খেয়ে ফিরে আসবে। তারপর ফের ঝালদা পুরসভা কংগ্রেস দখল করবে।
আলিপুরদুয়ারে এদিন জেলা কার্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসে ভাঙনও ধরান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। আলিপুরদুয়ার জেলার লতাবাড়ি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান-সহ মোট তিন জন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে যোগদান করে। তাঁদের হাতে বিজেপির পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
Jhalda Municipality: ঝালদা নিয়ে হস্তক্ষেপ করুন! রাজ্যপালের কাছে চিঠি দিয়ে দাবি অধীর চৌধুরীর