কোনও ব্যক্তির নয়, দল টিম ওয়ার্ক! বিদ্রোহীদের বার্তা দিয়ে বাংলা দখলের টার্গেট সুকান্তের
দল কোনও ব্যক্তির নয়! দল টিম ওয়ার্ক। সেই টিমের সিদ্ধান্ত কোনও সময়ে ভুল হয় আবার কখনও ঠিক হয়। আমরা সাংগঠনিক দল। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটি দল নিয়েছে মনে করতে হবে। আর এভাবেই নাম বঙ্গ বিজেপির বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে বার্তা স
দল কোনও ব্যক্তির নয়! দল টিম ওয়ার্ক। সেই টিমের সিদ্ধান্ত কোনও সময়ে ভুল হয় আবার কখনও ঠিক হয়। আমরা সাংগঠনিক দল। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে সেটি দল নিয়েছে মনে করতে হবে। আর এভাবেই নাম বঙ্গ বিজেপির বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে বার্তা সুকান্ত মজুমদারের।
গত কয়েকদিনে বঙ্গ বিজেপিতে বিদ্রোহের আগুন তীব্র হয়েছে। একের পর এক সাংসদ-বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। যা রীতিমত অস্বস্তি বাড়িয়ে সুকান্ত-শুভেন্দু। এই অবস্থায় নাম না করে কড়া বার্তা সুকান্তের। একই সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়েও চলার কথা বললেন তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে বাংলায় ভোট ব্যাঙ্কে বড় ধস নেমেছে। সমস্ত পুরসভা নির্বাচনে বাংলায় কোনও জায়গা করতে পারেনি। এমনকি সম্প্রতি ১০৮ পুর-নির্বাচনেও প্রবল ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ১৪ শতাংশে নেমে এসেছে বিজেপির ভোট। যা নিয়ে অনেকেই দলের মধ্যে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ সামনে এনেছেন। শুধু তাই নয়, সাংগঠনিক পর্যায়কেও দায়ি করা হয়েছে। এই অবস্থায় ভোট ফলাফল এবং পরিস্থিতি ঠিক করতে জরুরি বৈঠক ডাকেন সুকান্ত মজুমদার।
জাতীয় গ্রন্থাগারে এই বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচানোর দায় আমাদের। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে সবাইকে। আর তা করলেই ২০২৬ সালে বাংলার ক্ষমতায় বিজেপি আসবে বলেও চাঞ্চল্যকর মন্তব্য বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
তবে সামনেই ধর্মযুদ্ধ রয়েছে। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা এখনও পূরন হয়নি। আর তা সত্যি করতে এই ধর্মযুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার ডাক দেন সুকান্ত মজুমদার। আরও বলেন, বাংলায় ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যে অলিখিত জরুরি অবস্থা চলছে বলেও মন্তব্য বিজেপি নেতার। কিন্তু লড়াই চালিয়ে যেতে হবে বলে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য তাঁর।
তবে এই চিন্তন বৈঠকের মাধ্যমে পরিস্থিতি ঠিক করার চেষ্টা করা হলেও জরুরি বৈঠকে এলেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীই। জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারী নাকি শুক্রবার রাতেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এই বৈঠকে থাকতে পারছেন না। কিন্তু কেন? তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে দলের এহেন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কেন শুভেন্দু থাকলেন না তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। অন্যদিকে এই বৈঠকে ছিলেন না অর্জুন সিংও।
অন্যদিকে দিলীপ, রাহুল, অগ্নিমিত্রা, সুকান্ত, অমিতাভ এবং অমিত মালব্য থাকলেও মঞ্চে জায়গা পেলেন না লকেট। শ্রোতার আসনে বসেই গোটা ভাষন শুনলেন তিনি।