
পিসি-ভাইপোর দু’গালে দু’টি থাপ্পড়ের পর ঝালদা কংগ্রেসেরই, বার্তা বিজেপির সুকান্তের
কোর্টে থাপ্পড়ের পর থাপ্পড় খেয়েও ঝালদা পুরসভার দখল ছাড়ছে না তৃণমূল। তা নিয়ে এবার তৃণমূলকে একহাত নিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আলিপুরদুয়ারে বিজেপির এক অনুষ্ঠান থেকে তিনি ফলাও করে বললেন, ঝালদা পুরসভা কংগ্রেসেরই থাকবে। তৃণমূল চেষ্টা করেও ঝালদার দখল নিতে পারবে না।

রবিবার আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপির কার্যালয়ের ভূমিপুজোয় অংশ নেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক বোমা ছোড়েন তিনি। তার মধ্যে ঝালদা পুরসভা নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সুকান্ত। তিনি বলেন, কয়েকদিন পর কংগ্রেসই দখল করবে ঝালদা পুরসভা।
তাঁর কথায়, তৃণমূল নির্লজ্জ, নাক কান কাটা সরকার। তাই জনগণ হারিয়ে দেওয়ার পরও তারা কোর্টে গিয়েছে। কোর্টে গিয়েও হেরে যাচ্ছে, তাও লজ্জা হচ্ছে না। আবার কোর্টে যাচ্ছে আর থাপ্পড় খাচ্ছে। এবার কোর্টে গেলে দু'গালে দুটো থাপ্পড় খাবে তৃণমূল। ভাইপো দুটো আর পিসি দুটো করে থাপ্পর খেয়ে ফিরে আসবে। তারপর ফের ঝালদা পুরসভা কংগ্রেস দখল করবে।
এদিন ঝালদা পুরসভা নিয়ে রাজ্যপালের দৃষ্টি আকর্যণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখে তিনি জরুরি ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তৃণমূল ভোটে আস্থা হারার পর বেআইনিভাবে ঝালদা পুরসভায় চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেছে। তারপর আবার প্রশাসক বসিয়েছে। এইভাবে নৈরাজ্য স্থাপন করছে রাজ্য সরকার। এই অনৈতিকতার বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান তিনি।
এবার কংগ্রেসের এই লড়াইয়ে বিজেপি পরোক্ষে সমর্থন জানাল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সরাসরি দাবি করলেন, তৃণমূল অনৈতিকভাবে ঝালদা পরসভা দখলের চেষ্টা করছে। কোর্টে গিয়ে মুখ পুড়েছে, তবু হাল ছাড়ছে না। তবে ঝালদা পুরসভা কোনওভাবেই তৃণমূল দখল করতে পারবে না। ঝালদা পুরসভা কংগ্রেসেরই হবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একই বন্ধনীতে রেখে আক্রমণ শানান সুকান্ত। প্রথমে ঝালদা পুরসভা নিয়ে তাঁদের দু-গালে দুটি থাপ্পড় কসাবে কোর্ট, এমন মন্তব্য করেন। তারপর বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন নিজেকে বাঁচানোর আর সরকার বাঁচানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য তিনি এখনও প্রস্তুত নন। সেই কারণেই এত তাড়াতাড়ি নির্বাচন করতে চাইছে না রাজ্যের তৃণমূল সরকার। যখনই নির্বাচন হোক বিজেপি প্রস্তুত। নির্বাচন হোক বুঝতে পারবেন তৃণমূলের কী অবস্থা হয়।
আর অভিষেককে তিন ব্যাঙাচির সঙ্গে তুলনা করেন। বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মিস কন্সেপশন নিয়ে আছেন। জেনে রাখবেন, বিজেপি জনপ্রতিনিধি নিয়ে চলে না। জনপ্রতিনিধিরা বিজেপির একটি অংশ। কয়েকজন বিধায়ককে দলে জয়েন করিয়েও বিজেপিকে রোখা যায়নি। এর আগেও ইন্দিরা গান্ধী, জওহরলাল নেহরুর মতো মহারথীরা চেষ্টা করেছেন, পারেননি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তো একটি ব্যাঙাচি মাত্র, তিনিও পারবেন না।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁচার লড়াইয়ে ব্যস্ত, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে খোঁচা সুকান্তের