নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী, তাই জেলে মীনাক্ষী! আনিস-কাণ্ডে মমতাকে খোঁচা সুজনের
নন্দীগ্রামে মমতার প্রতিদ্বন্দ্বী, তাই জেলে মীনাক্ষী! আনিস-কাণ্ডে মমতাকে খোঁচা সুজনের
আনিস-কাণ্ডে প্রতিবাদে নেমে গ্রেফতার হন ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তাঁর গ্রেফতারির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই আঙুল তুললেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। মীনাক্ষীর গ্রেফতারির পিছনে কীর কারণ রয়েছে ব্যাক্যা করেন তিনি। তাঁকে জেলে আটকে রাখার কারণ নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নেন।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, সিপিএমের যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে আটকে রাখা হয়েছে জেলে। তার একটাই কারণ, তিনি নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে জেলা কাটাতে হচ্ছে। সুজন বলেন, আনিসকাণ্ডে খুনিরা বাইরে ঘুরছেন, আর তার প্রতিবাদ করে জেল খাটছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়!
আনিস খানে হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে দোষীদের শাস্তির দাবিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি এসপি অফিস ঘেরাও অভিযান নেমেছিলেন বাম ছাত্র-যুবরা। সেই প্রতিবাদ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সিপিএমের যুব শাখার রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাঁচলার পানিহাটিতে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পুলিশের গাড়িয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ছ-নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পাঁচলার এসপি অফিস চত্বর।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটের আগাতে জখম হল কয়েকজন পুলিশকর্মীও। সেই ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে। মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সেই থেকেই জেল হেফাজতে আছেন। তাঁকে আটকে রাখা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
নেই জল–খাবার, দেশে ফিরে যাওয়ার আশা হারাচ্ছেন ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়ারা
ফেসবুক পেজে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী তুলে ধরেছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার প্রকৃত কারণ। তিনি বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে মীনাক্ষীকে। আসনে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়ে গিয়েছেন। তাই তিনি আনিসকাণ্ডে খুনিদের বাইরে রেখে প্রতিবাদীদের জেলে পুরছেন। এর পিছনে রয়েছে আরও একটি কারণ।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, মীনাক্ষী নন্দীগ্রামে নির্বাচনী লড়াই করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তিনি নির্বাচনী লড়াই করেছিল বলেই কি তাঁর এই শাস্তি? নন্দীগ্রামে ভোটে দাঁড়ানোর জন্য শাস্তিস্বরূপ জেলে পাঠানো হয়েছে মীনাক্ষীকে। অছত মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন বিধানসভা ভাঙচুর-সহ নানা অপরাধ করছেন। তাঁকে কখনও জেলে যেতে হয়নি।
সুজন চক্রবর্তী দাবি তোলেন, অবিলম্বে জেলবন্দি কমরেডদের মুক্তি চাই। বাম সরকার তাঁকে কখনও জেলে পাঠায়নি নানা অরাজক কাজ করা সত্ত্বেও। কিন্তু তিনি শাসক হয়ে বাম নেতা-নেত্রীদের জেলে পাঠাচ্ছেন আন্দোলন দমন করার জন্য। এভাবে আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।