চাল চুরি, ত্রাণের টাকা চুরির পর এবার করোনার কিট! পুজোয় মমতার থেকে তৃণমূল নেতাদের তফাত করলেন সুজন
মানুষ সচেতনভাবেই চলতে চায়। কিন্তু তাঁদের উসকানো হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mama
মানুষ সচেতনভাবেই চলতে চায়। কিন্তু তাঁদের উসকানো হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)। তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আলাদা করার পাশাপাশি করোনার কিট নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন।
চলছে নতুন পদ্ধতিতে হিসেব! মোদী জমানায় বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সুখবর পেতে পারেন সরকারি কর্মীরা
করোনার টেস্ট নিয়ে অভিযোগ
সুজন চক্রবর্তীর অভিযোগ রাজ্যে করোনার টেস্ট বাড়ছে না। আর টেস্ট বাড়লেই পজিটিভ বাড়ছে না। মৃত্যু যেন না বাড়ে। এই ধরনের মনোভাব কি সরকারের মধ্যে কাজ করছে, প্রশ্ন করেন তিনি। বিষয়টিকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সুজন চক্রবর্তী।
করোনার কিট নিয়ে অভিযোগ
চাল চুরি, ত্রাণের টাকা চুরি, ত্রিপল চুরি, সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে, সবাই দেখেছেন। কিন্তু করোনার কিট নিয়েও দুর্নীতি। সুজন চক্রবর্তী বলেন, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, তাঁর কাছে দুর্নীতির নির্দিষ্ট অভিযোগ আসায় তিনি আধিকারিকদের দিয়ে তদন্ত করিয়েছিলেন। তিনি বলেন, করোনার কিট নিয়ে অভিযোগ আরও ব্যাপক হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, করোনার কিট নিয়ে অভিযোগ এমনভাবে হচ্ছে, যেটা করোনার কিট তার থেকে টাকা আয়ের একটা বন্দোবস্ত। সরকার যেন এবিষয়ে তদন্ত করে, বলেছেন সুজন চক্রবর্তী। তদন্ত না করলে বিপদ হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। করোনার কিট নিয়ে অভিযোগের জবাব মুখ্যমন্ত্রীকে দিতে হবে, বলেছেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলুন, কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। তিনি দাবি করেন, সরকার ব্যর্থ হবে, সেই তথ্য তাদের কাছে আছে বলে দাবি করেন সুজন চক্রবর্তী।
পুজো নিয়ে হাইকোর্টের রায় স্বাগত
পুজো নিয়ে হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। বুধবারের আদেশ সোমবারের আদেশের সঙ্গে সামঞ্চস্যপূর্ণ বলে জানিয়েছেন তিনি। মণ্ডপে মানুষের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। মণ্ডপে ঢাকিদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও করোনা ঠেকাতে আগের মনোভাবই বহাল রয়েছে। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, আদালতের আদেশে তো সরকারের মতই প্রকাশ পেয়েছে। কেননা গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি কমিটি বলেছিল তিনদিক খোলা প্যান্ডেলের কথা। কিন্তু তাতে তৃণমূল নেতাদের এত রাগ কেন প্রশ্ন করেন সুজন চক্রবর্তী।
সংক্রমণের ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়াল
তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো নিজেই চাইছেন প্যান্ডেলে যেন বেশি ভিড় না হয়। সেই জন্যই তো তিনি ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন। সুজন চক্রবর্তী বলেন, সংক্রমণের ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী যেথানে নিজেই ভার্চুয়াল, সেখানে হাইকোর্টের রায়ে তৃণমূলের নেতাদের কেন রাগ হচ্ছে প্রশ্ন করেছেন তিনি।
ঘরে বসে নমাজ পড়ুন আর ভিড় করবেন না একই স্পিরিট
সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ঘরে বসে নমাজ পড়ুন। ফলে ঘরে বসে নমাজ পড়ুন যে স্পিরিট, সেখানে অযথা ভিড় করবেন না তো একই স্পিরিট। ফলে বিবাদ না করে চিকিৎসকদের সংগঠন, গ্লোবাল অ্যাডভাইসরি কমিটির চেয়ারম্যান অভিজিৎ বিনয়ক বন্দ্যোপাধ্যায়, যেটা বলছেন, সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়। কেননা সংক্রমণ ছড়ালে হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সুযোগ মানুষ পাবে না। তিনি বলেন, উৎসবের আবহ যেন, কখনই আমাদের শোকের কারণ না হয়।
মানুষ অসচেতন নয়
তিনি বলেন, মানুষকে উসকানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষ অসচেতন নয়। লকডাউনের প্রথম থেকেই দেখা গিয়েছে, মানুষ সচেতনভাবেই চলতে চেয়েছে। কিন্তু দিল্লি কিংবা রাজ্য, ব্যর্থ হয়েছে। দুই সরকার এমনভাবে চলেছে, যাতে ভিড় বেড়েছে। তিনি বলেন, ছটপুজোর সময় সরকারের মন্ত্রীরা বলেছিল, মানুষ ভিড় করছে আমরা কী করব। পুলিশও প্রায় একইরকমের কথা বলছিল। তিনি বলেন, মন্ত্রীরা রাজনীতি করতে পারেন, কিন্তু আইএএস, আইপিএস-দের রাজনীতি থাকবে কেন। তারা প্রশাসনিক কর্তা, তাদের প্রশাসনিক নির্দেশ অনুযায়ী চলতে হবে। আদালতের নির্দেশের মান্যতা না দিলে তাঁদের জবাবদিহি করতে হবে।