গোটা পশ্চিমবঙ্গ ডিজাস্টারে চলে গিয়েছে! মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কিনেছিল সিইএসসি,আম্ফান নিয়ে বিস্ফোরক সুজন
ছদিন হল জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, বিপর্যয় চূড়ান্ত। কিন্তু কেন। প্রশ্ন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর। নিখুঁত আগাম পূর্বাভাস হাতে থাকা সত্ত্বেও আমরা কেন প্রস্তুত হতে পারলাম না, প্রশ্ন করেছেন তিনি।
ছদিন হল জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, বিপর্যয় চূড়ান্ত। কিন্তু কেন। প্রশ্ন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর। নিখুঁত আগাম পূর্বাভাস হাতে থাকা সত্ত্বেও আমরা কেন প্রস্তুত হতে পারলাম না, প্রশ্ন করেছেন তিনি। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট ডিজাস্টারে চলে গিয়েছে। এক অনলাইন ওয়েব পোর্টালের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মন্তব্য করেছেন তিনি।
করোনার মোকাবিলায় আর নয় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন! ব্যবহার স্থগিত রাখার ঘোষণা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
রাজ্যটা ডিজাস্টারে চলে গিয়েছে
নিজের কেন্দ্র যাদবপুরের বিভিন্ন জায়গার নাম উল্লেখ করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, বৈষ্ণবঘাটা, বরোদা এভিনিউ, পঞ্চসায়র, নয়াবাদ, শ্রীকলোনি, রিজেন্ট এস্টেট, সন্তোষপুর, যাদবপুর, গরফা। এলাকাগুলিতে আলো নেই, জল নেই। সিইএসসির দেখা নেই, কেএমসির দেখা নেই। তাঁর অভিযোগ, সিইএসসি ও কলকাতা পুরসভার ব্যর্থতার জন্যই এই পরিস্থিতি।
নিখুঁত পূর্বাভাস ছিল
বাম পরিষদীয় নেতা জানিয়েছেন এবার নিখুঁত পূর্বাভাস ছিল। এমন কথা এর আগে বলেছিলেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরীও। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শুধু রাজনীতিবিদরাই নন, অনেক বিশেষজ্ঞ-র মতও এমনটাই। আগের বারের ঘূর্ণিঝড়গুলির থেকে এবারের পূর্বাভাস কিংবা স্থান মিলিয়ে দিতে পেরেছে আবহাওয়া দফতর।
বিধায়কের বাড়িতে ৬ দিন আলো নেই, জল নেই
এলাকার সাধারণ মানুষই শুধু নন, বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর নিজের বাড়িতেও ছয়দিন ধরে আলো নেই, জল নেই। সুজন চক্রবর্তী বলেন, কলকাতার কাছেই তাঁর বাড়িতেই যদি এই অবস্থা হয়, যাদবপুরে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে গোটা রাজ্যের পরিস্থিতিটা কী।
মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কিনেছিল সিইএসসি
সুজন চক্রবর্তী বলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী, সিইএসসি, কলকাতা পুরসভা, সবাইকেই বিষয়টি নিয়ে বলেছেন। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শুধু ছবি কিনলেই হবে না, আর বিদেশে ঘুরলে হবে না, মানুষকে বাঁচাতে হবে। তিনি বলেন, কর্পোরেশনে নিজেদের মধ্যে কে কত বড় নেতা হতে পারে, তার লড়াই চলছে। তাঁর আবেদন, মানুষকে আর বিপদে না ফেলে দায়বদ্ধতার পরিচয় দিন।
তৃণমূলের সঙ্গে সিইএসসির লেনাদেনার সম্পর্ক, বলেছিলেন অধীর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, বাম আমলে সিইএসসিকে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এক চেটিয়া ব্যবসার জন্য সিইএসসি, নিজেদের আধুনিকিকরণ করেনি বলে অভিযোগ করেন অধীর। তিনি অভিযোগ করেন, সারা ভারতের দরের থেকে সিইএসসির বিদ্যুতের দর বেশি। সিইএসসির অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর যাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন তিনি। সিইএসসি তাঁর(মমতার) আমলে কী কী সুবিধা পেয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রী জানেন বলেও মন্তব্য করেন অধীর। তাঁর আরও অভিযোগ সিইএসসির সঙ্গে তৃণমূলের খুব ভাল সম্পর্ক। তাদের সঙ্গে লেনাদেনার সম্পর্ক আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।