করোনায় 'ড্রাফট' ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন!তথ্য লুকোতে গিয়ে বিধানসভাতেই ভুল, উদাহরণ সুজনের
করোনায় 'ড্রাফট' ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন!তথ্য লুকোতে গিয়ে বিধানসভাতেই ভুল, উদাহরণ সুজনের
করোনায় ডেথ সার্টিফিকেট লেখার পরেও পরিবর্তন। এমন কী ডেথ সার্টিফিকেট দিতে দিয়ে ড্রাফট ডেথ সার্টিফিকেট ব্যবহার। এটা কি কখনও শোনা গিয়েছে, প্রশ্ন তুললেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। লুকোতে গেলে ক্ষতি হয়, তাই বাস্তবের ওপর দাঁড়িয়ে পরিস্থিতির মোকাবিলা করুন, বললেন সুজন চক্রবর্তী।
অ্যাডভাইসরি কমিটির কাজে প্রশ্ন
সুজন চক্রবর্তী করোনা মৃত্যুর সংখ্যা লুকনো নিয়ে অভিযোগ করতে গিয়ে বলেন, রাজ্যের করোনা নিয়ে অ্যাজভাইসরি কমিটি উল্লেখ করেছিল ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু দুঘন্টার মধ্যে মুখ্যসচিব জানালেন সংখ্যাটা তিন। এনিয়ে মুখ্যসচিব এবং অ্যাজভাইসরি কমিটির চিকিৎসকদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুজন চক্রবর্তী। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, অনুপ্রেরণা প্রবল হওয়ার জন্যই এই ঘটনা। অনুপ্রেরণায় সব কিছু হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুজন বলেন, অ্যাডভাইসরি কমিটিই পরে পরিবর্তিত হয়ে যায় এক্সপার্ট কমিটিতে। কেননা সেই অ্যাডভাইসরি কমিটিকে বিশ্বাস করা গেল না। সঙ্গে যুক্ত হল অডিট। তাঁর প্রশ্ন কিসের অডিট করা হবে।
ডেথ সার্টিফিকেট দেবেন চিকিৎসক
সুজন চক্রবর্তী উল্লেখ করেন, ডেথ সার্টিফিকেট দেবেন চিকিৎসক। কিন্তু এখন করোনায় মৃত্যুর পর ডেথ সার্টিফিকেট ফেলে রেখে কমিটি বসে ঠিক করথে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে, ডেথ সার্টিফিকেটে রয়েছে কোভিড কিন্তু কোভিডের তালিকায় কেন নাম নেই।
কোন কোন কাজে অডিট জরুরি
কেন খাবার পাচ্ছে না, কেনই বা ঠিকঠাক চিকিৎসা হচ্ছে না, তা নিয়ে অডিট হওয়া জরুরি বলে উল্লেখ করেন সুজন চক্রবর্তী। কী কারণে মৃত্যু তদন্ত করতে অডিট হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জেলায় জেলায় বিস্ফোরক পরিস্থিতি
সুজন চক্রবর্তী বলেন জেলায় জেলায় বিস্ফোরক পরিস্থিতি। মানুষ শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। এত সমর্থনের পরেও মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিরোধে মুখ্যমন্ত্রী কেন গেলেন প্রশ্ন করেন সুজন চক্রবর্তী। বাঙুর ও হাওড়া হাসপাতালের পরিস্থিতি খারাপ বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ড্রাফট ডেথ সার্টিফিকেট
বিভিন্ন হাসপাতালে প্রথমে ড্রাফট ডেথ সার্টিফিকেট লেখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আবার ডেথ সার্টিফিকেট লেখার পরেও, বাতিল হয়ে যাওয়ায় চিকিৎসকরা ড্রাফট লিখতে বাধ্য হচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। মানুষ কি মরেও শান্তি পাবে না, প্রশ্ন করেন সুজন।
এর আগেও সংখ্যা কমানো হয়েছে, বিধানসভায় ভুল তথ্য
সুজন চক্রবর্তী বলেন, এর আগেও মৃত্যু হোক কিংবা ধর্ষণে সংখ্যা কমানো হয়েছে। তিনি বলেন ডেঙ্গুতেও সংখ্যা কমানো হয়েছে। তাঁর দাবি রাজ্য বিধানসভায় একই দিনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আর স্বাস্থ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী একই বিষয় নিয়ে দুরকম তথ্য দিয়েছেন।
করোনায় তথ্য বিকৃতির অভিযোগে সুজনের বিরুদ্ধে এফআইআর! আইনের পথে লড়াই, বলল সিপিএম