মমতার বাংলার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ চাইছেন সিপিএমের সুজন, প্রশ্নে মোদীর মনোভাব
মমতার বাংলার জন্য স্পেশাল প্যাকেজ চাইছেন সিপিএমের সুজন, প্রশ্নে মোদীর মনোভাব
দেশের বাস্তব পরিস্থিতি বুঝছেন না প্রধানমন্ত্রী। বোঝার কোনও চেষ্টাও নেই তাঁর। প্রধানমন্ত্রীর মনোভাবই নেই মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। এই অবস্থায় মোদীকে কড়া চিঠি লিখলেন সুজন চক্রবর্তী। বাম পরিষদীয় দলনেতা ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যৌথভাবে এক চিঠিতে দাবি জানান রাজ্যের জন্য বিশেষ প্যাকেজের। কড়া চিঠিতে তিন দাবি উত্থাপন করেন তাঁরা।
মোদীর পাশে দাঁড়ানোর মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন সুজনের
সুজন আরও এক মোক্ষম প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে। তিনি বলেন, মানুষ যে কষ্ট করবে, তাঁদের কষ্টের মধ্যে ফেলার পর তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর মনোভাব এই সরকারের মধ্যে আছে কি? তিনি বলেন, আমাদের রাজ্যের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। এই রাজ্যেই সবথেকে কম টেস্ট হয়েছে, সবথেকে বেশি মৃত্যুহার। কিন্তু পাশাপাশি এ প্রশ্নও তো উঠবে, কেন কিট পাঠাতে পারেনি কেন্দ্র। যদিওবা পাঠানো কেন ডিফেক্ট কিট পাঠানো হল?
বাংলার জন্য স্পেশাল প্যাকেজের দাবি সুজন-মান্নানের
সুজন বলেন, রাজ্যকে কোনও সাহায্য করা হয়নি। বাংলার স্পেশাল প্যাকেজ দরকার। কিন্তু কেন্দ্র তা দেয়নি। শুধু একটা টিম পাঠিয়ে দিয়েছেন। টিম পাঠিয়েছেন- পাঠাক, কিন্তু তাঁদের কাছে গোপন করার কিছু নেই। গোপন করা অনুচিত হচ্চে রাজ্যের। কিন্তু শুধু কি টিম পাঠালেই হল। তাঁদের কাছে অ্যাডিশনাল সাপোর্টটা নেই। আমরা তাই প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।
তিন দাবি বাম-কংগ্রেসের, চিঠি মোদীকে
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের আবদুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর তরফে একটি চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে- ১) মানুষের হাতে সাড়ে সাত হাজার টাকা করে দিতে হবে। গরিব মানুষকে তা দিতে হবে অন্তত ছ-মাসের জন্য। ২) প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী খাদ্য পৌঁছতে হবে। ৩) পরিযায়ী শ্রমিক, পেসেন্ট পার্টি ও আটক ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়াতে হবে চটজলদি।
গরবিদের বিপদ থেকে রক্ষা করার কোনও তাগিদ নেই
গরিব মানুষগুলোর কথা একবার মনে করিয়ে দিলাম আমরা। তা না হলে মন কি বাত হবে কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়ানো হবে না। মন কি বাত মোদীর মনের কথা হয়েই রয়ে যাবে। মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার এই আনপ্ল্যানড লকডাউনে ভাবেনি পরিযায়ী শ্রমিক, অসংগঠিত শ্রমিক, ভিনরাজ্যে চিকিৎসা করাতে যাওয়া মানুষ, গবিব মানুষদের কথা। এসব তো দেখার দায়িত্ব ছিল প্রধানমন্ত্রীরই। তাদের বিপদ থেকে রক্ষা করার কোনও ব্যবস্থা সরকারের নেই।
কোথায় টাকা, কোথায় খাবার, প্রশ্ন সুজনের
সুজন প্রশ্ন তোলেন, লকডাউনের সবথেকে বড় সাফল্য কী? লকডাউনের বড় সাফল্য হল মানুষ লকডাউন থাকবেন অর্থাৎ ঘরবন্দি থাকবেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি পরিষেবার জিনিস তাঁদের হাতে পৌঁছে দিতে হবে। কিন্তু সেসব কোথায়। না প্রধানমন্ত্রী সেসব কথা তাঁর একতরফা বক্তৃতায় বলছেন না। সুজন বলেন, ৬৫ ভাগ শ্রমিকের কাছে কোনও সরকারি বন্দোবস্ত পৌঁছয়নি।
খাদ্যের অভাব নয়, বণ্টনের অভাব
তাঁর কথায়, মানুষের হাতে টাকা নেই। সংগ্রহে খাবার নেই। মানুষ খেতে পাচ্ছেন না। অথচ গোডাউনে খাবার পচছে। তাঁদের টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত হয়নি, খাদ্যও পৌঁছে দেওয়া হয়নি। অমর্ত্য সেন এই পরিস্থিতিতেও জানিয়েছেন, খাদ্যের অভাব নয়, বণ্টনের অভাবে খাদ্য পৌঁছচ্ছে না মানুষের হাতে। এই সমগ্র অবস্থা নিয়েও কোনও কথা নেই।