মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করুন পঞ্চায়েত ব্যর্থ, টাকা লুট হয়েছে! দুয়ারে সরকার কর্মসূচি নিয়ে বিস্ফোরক সুজন
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee) কথা ও প্রচার যে মিথ্যা, তা দুয়ারে দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতেই প্রমাণিত। এদিন এমনটাই মন্তব্য করলেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী (sujan chakraborty)। এদিন তিনি সরকারের যুবশ্রী প্রকল্প নিয়েও কটাক্ষ করেন।

কাজ করতে গেলে টেনে ধরা হচ্ছে! তৃণমূল সমর্থক বেসুরো বিধায়ককে নিয়ে শুরু দলবদলের জল্পনা

যুবশ্রী প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ
এদিন তৃণমূল সরকারের যুবশ্রী প্রকল্প নিয়ে কটাক্ষ করেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, একলক্ষ যুবককে তিনি যুবশ্রী দেবেন, একবছরের সময়ের মধ্যে বিকল্প কাজের বন্দোবস্ত করে দেবেন। বিনিময়ে পরের বছর ফের অন্যরা যুবশ্রী পাবেন। সুজন চক্রবর্তী বলেন কথা রক্ষা করা মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী যদি তাঁর কথা রক্ষা না করেন, তাহলে ছেলে মেয়েরা রাস্তায় নামতে বাধ্য। সুজন চক্রবর্তী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হয় বলুন তিনি প্রতিশ্রুতি পালন করবেন, না হলে বলুন ভোটের জন্য মিথ্যা বলেছি, এখন ক্ষমা করে দিন।

কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্রচার নিয়ে প্রশ্ন
দুয়ারে দুয়ারে সরকার। এদিন থেকেই কাজ শুরু করেছে রাজ্য সরকারের নতুন কর্মসূচি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুজন চক্রবর্তী। এদিন তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, কেন কোটি কোটি টাকা খরচ করে কেন দলবাজির পার্টি প্রচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সরকারি প্রকল্পের টাকা যে লুট হয়েছে, সেই কারণের সরকারের দুয়ারে যাওয়ার দরকার পড়ছে। তিনি বলেন, সরকারকে দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই তো পঞ্চায়েতের ব্যবস্থা, গ্রাম সংসদ, পুরসভার ব্যবস্থা। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, তাহলে সরকার স্বীকার করে নিচ্ছে পঞ্চায়েত ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে। পঞ্চায়েত মানুষের দুয়ারে পৌঁছতে পারেনি। পঞ্চায়েতে যে দখলদারি আর লুট হয়েছে, তা সরকার স্বীকার করল বলেও মন্তব্য করেছেন সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, সরকারি টাকায় তৃণমূলের মিথ্যা প্রচারের নাম হল দুয়ারে সরকার। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী স্বীকার করুন পঞ্চায়েত ব্যর্থ, টাকা লুট হয়েছে, তা স্বীকার করুন।

মুখ্যমন্ত্রী 'আমি করেছি'কে কটাক্ষ
এদিন সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী আমি করেছি মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেছেন, তপশিলি সার্টিফিকেটও কি মুখ্যমন্ত্রীর করা। তাঁর প্রশ্ন নামতে নামতে কোথায় যাবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, খাদ্যসাথী সাড়্ দশকোটি মানুষের জন্য। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সংখ্যাই সাড়ে নয়কোটি। তিনি বলেন, মানুষকে প্রতারণা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এতদিন বলে এসেছেন, একশোভাগ কাজ তিনি করে দিয়েছেন, তাহলে দুয়ারে যেতে হচ্ছে কেন।

আম্ফান দুর্নীতির তদন্ত সিএজির হাতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত স্বাগত
আম্ফান দুর্নীতির তদন্ত হাইকোর্টের তরফে সিএজির হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। এদিন তিনি বলেন, আম্ফান ঝড়ের পরে দুর্নীতি যে পাহাড় প্রমাণ একথা বারবার বলেছিল সিপিএম তথা বামদলগুলি। তিনি আরও বলেন, সরকার সুযোগ নিয়ে লুঠের বন্দোবস্ত করে দিয়েছে। তিনি বলেন দুর্নীতির বহর এতটাই বেশি যে হাইকোর্টের রায়ে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, এই ব্যবস্থায় তৃণমূলের ঘরে ফান্ড জমেছে। তিনি বলেন চিটফান্ড দুর্নীতিতে মোদী ও মমতা আপস করেছে। তবে আম্ফান দুর্নীতি হাতকড়া পড়বে বলেই মনে করেন তিনি।