শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বলে তোপ সুজনের! কি বলছেন খোদ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় বলে তোপ সুজনের! কি বলছেন খোদ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?
ফের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে রাজ্য প্রশাসন। শুধু তাই নয়, খোদ শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। রাত আটটার মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এমনকি মন্ত্রীকে পদ থেকে সরানোর জন্যে রাজ্যের রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীকেও সুপারিশ করা হয়েছে। আর এহেন নির্দেশ সামনে আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের সরকারকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের।
কি বলছেন সুজন চক্রবর্তী
নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন বামনেতা সুজন চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, এই এক সর্বনাশা ব্যাপার বলে ব্যাখ্যা তাঁর। এমনকি অবশ্যই লজ্জাজনক ঘটনা বলেও দাবি সুজন চক্রবর্তীর। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বর্ষীয়ান এই বাম নেতা বলেন, একজন ৭৭ নম্বর পেয়েও চাকরি পাবে না। আরেকজন ৬১ কিংবা ৫১ বা পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পেয়ে যাবেন তা ঠিক নয়। শুধু তাই নয়, সে প্রভাবশালী, তাঁর বাবা তৃণমূলের বিধায়ক-মন্ত্রী বলে এই সুবিধা পেয়ে যাবেন তা ঠিক নয় বলেও দাবি সুজন চক্রবর্তীর। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত বলেও তোপ তাঁর।
প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, ঘুষ দিতে পারেনি বলেই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আন্দোলন করছে হাজার বেকার যুবক। প্রখর রোদের মধ্যেই চলছে আন্দোলন। আর মন্ত্রী তাঁর ঘরের মেয়েকে চাকরি করে দিচ্ছেন। তিনি পরেশ অধিকারী বলে ব্যাখ্যা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। শুধু তাই নয়, বেকার যুবকদের জন্যে তুমি কিছু করতে পারছ না আর মেয়ের জন্যে করছ বলে কটাক্ষ সাংসদের।
কোনও নিয়োগই সন্দেহের উর্ধে নয়
কোনও নিয়োগই সন্দেহের উর্ধে নয়। তবে এটা বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয় বলে দাবি বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের। তাঁর মতে, এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। তবে আদালত আদালতের মতো চলবে বলে দাবি বিজেপি নেতার।
কিছুই জানা নেই বলে দাবি
তবে এই প্রসঙ্গে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে নিজের এলাকাতে রয়েছেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই সেখানে পৌঁছে যান সাংবাদিকরা। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কিছুই জানা নেই বলে দাবি করেছেন পরেশ অধিকারী। অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, যেটা ঠিক সেটা সবসময়েই ঠিক। ভুল থাকলে অবশ্যই তা ভুল। কিন্তু কোন জায়গাতে ভুল চিহ্নিত করতে গিয়ে আমরা আশা রাখব আদালতের চৌকাঠটি বজায় রাখবেন। কাকে মন্ত্রী রাখা হবে-রাখা হবে না তা মুখ্যমন্ত্রী কিংবা সরকারের উপরই ছেড়ে দেওয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য কুণালের।
কোনও হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে বিধায়কদের থানায় এফআইআর করতে বললেন মমতা