তৃণমূলের শাসনে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধেই সালিশি সভা, অপমানে ফেসবুক পোস্ট করে আত্মহত্যা নেতার
আবার ফেসবুকে লিখে আত্মহত্যা। এবারের ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় আত্মহত্যা করেছেন জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল সম্পাদক রতন সরকার। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আবার ফেসবুকে লিখে আত্মহত্যা। এবারের ঘটনাটি জলপাইগুড়ির। তাঁর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠায় আত্মহত্যা করেছেন জলপাইগুড়ির যুব তৃণমূল সম্পাদক রতন সরকার। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ফেসবুক পোস্টে অভিযুক্ত রতন সরকার লিখেছিলেন, 'অপমান সহ্য করতে না পেরে, ভূষাপাড়া ক্যানেল পাড়ে সুইসাইড করলাম'। রবিবার রাতেই দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পকেট থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও। সেখানে কয়েকজনকে দায়ী করে গিয়েছিলেন ওই তৃণমূল নেতা।
ঘটনার সূত্রপাত নবমীর রাতে। বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কায়েত পাড়ায় বাড়ি রতন সরকারের। নবমী রাতে একই পাড়ার বিষ্ণুপদ সরকারের নাবালিকা কন্যাকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন রতন। বিষ্ণুপদ সরকারের স্ত্রী লক্ষ্মী সরকার জানিয়েছেন, রাজি না থাকলেও মেয়েকে নিয়ে ঠাকুর দেখতে যায় রতন সরকার। নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর মেয়ের শ্লীলতাহানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছিল রতন সরকার।
মৃত রতন সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারের অভিযোগ, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের অভিযোগ করে সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। সেখানে পাঁচলক্ষ টাকা দাবি করা হয় বলেও অভিযোগ। পরিবারের সদস্যদের অপমানের হুমকিও দেওয়া হয়। এই অপমান ও হুমকির জেরেই তার ভাই আত্মহ্ত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন বিশ্বজিৎ সরকার।
যদিও তৃণমূলের শাসনকালে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।