সাংসদ-বিধায়ক ছাড়া মোটা মাসোহারা পেতেন পুলিশ অফিসাররাও! চাঞ্চল্যকর বয়ান সুদীপ্তর
সারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বয়ানে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই অনেক রসদ জোগাড় করেছে। এবার সুদীপ্ত সেনকেও জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা।
সারদা-কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বয়ানে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআই অনেক রসদ জোগাড় করেছে। এবার সুদীপ্ত সেনকেও জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেলেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসাররা। সুদীপ্ত সেন সিবিআই আধিকারিকদের জেরার মুখে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র সাংসদ ও বিধায়করাই নন, টাকা খেয়েছেন পুলিশের আধিকারিকরাও।
সিবিআই মনে করছে, সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের বয়ানকে হাতিয়ার করে রাজীবের বিরুদ্ধে নামছে সিবিআই। সুদীপ্ত সেন জেরার মুখে জানিয়েছেন, এ রাজ্যের বেশ কিছু পুলিশ অফিসার এবং বেশ কিছু থানাকে মাসোহারার টাকা পাঠাতে হত। তিনি জানিয়েছেন, ব্যবসা চালানোর জন্য টাকা দিতে হয়েছে ভিনরাজ্যের পুলিশ আধিকারিকদেরও।
তিনিও জানান, সারদা গোষ্ঠীর বহু তথ্য ছিল ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভে। ২০০টি ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এত ল্যাপটপ ও পেনড্রাইভ গেল কোথায়। কেন সেগুলি সিজার লিস্টে দেখানো হয়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে জেরার মুখে সিবিআইকে দেবযানী জানিয়েছেন, ট্রাঙ্কভর্তি নথিপত্র তুলে দিয়েছিলাম রাজীব কুমারের হাতে। আমি বিধাননগর পুলিশকে জানিয়েছিলাম, মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে সারদা রিয়েলিটি ও মিডিয়া সংক্রান্ত নথি আছে। সেই নথি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানান তিনি।
তাঁর অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে আমাকে নিয়ে যায়নি, পরে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে গিয়ে আমি দেখতে পাই বহু জিনিস ভেঙে পড়ে রয়েছে। অফিসের সব কাচ ভাঙা। বহু কম্পিউটারও উধাও। সেখান থেকে বহু নথি উধাও হয়ে গিয়েছে। অফিস থেকে সব ট্রাঙ্কও নিয়ে চলে গিয়েছিল। নীচের ঘরে আর যে সমস্ত নথি ছিল, সেগুলো বাছাই করে দিয়েছিলাম আমি। ট্রাঙ্কে করে সেই নথি নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। দেবযানী-সুদীপ্তের এই বয়ানকে রাজীবের বিরুদ্ধে মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে সিবিআই।