'লুকিয়ে লুকিয়ে ফোনও করেন', রাজ্যপালের কীর্তি 'ফাঁস' করলেন সুদীপ
একাধিক ইস্যুতে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। পালটা জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এই বিতর্কের মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্
রাজভবন-নবান্ন সংঘাত নতুন কিছু না! একাধিক ইস্যুতে বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। পালটা জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর এই বিতর্কের মধ্যেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর দাবি, লুকিয়ে লুকিয়ে রাজ্যপাল ফোন করেন। কার্যত গত মাসখানেক আগে একই অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়।
কি বললেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ বুধবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সাংসদ। বলেন, উনি লুকিয়ে লুকিয়ে ফোনও করেন...। দেখা করে কথা বলতে চান বলেও রাজ্যপাল বলেন বলে দাবি করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রাজ্যপালের কথা শুনেই ফোন তিনি রেখে দিয়েছেন বলে এদিন জানিয়েছেন সাংসদ। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের পদ রাখা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন গোটা দেশেই রাজ্যপালের পদ রাখা নিয়ে একটা বিতর্ক তৈরি হয়েছে। হাতির পোষার খরচ কীসের জন্যে বক্তব্য সাংসদের।
রাষ্ট্রপতিকে রাজ্যপালকে সরানোর দাবি
তবে এই বিষয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানানো হয় বলেও দাবি করেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, অধিবেশন শুরু'র প্রথম উদ্বোধনী ভাষণে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। সেদিন প্রথম সারিতে বসেছিলেন সুদীপ। আর সেই বিষয়টিকে উল্লেখ করেন তাঁর দাবি, রাষ্ট্রপতিকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্যে বলেছিলেন। গনতন্ত্রিক কোনও কিছু উনি মানছেন না বলেও নাকি অভিযোগ জানিয়েছিলেন বলে এদিন দাবি করেন সাংসদ। আর এরপরেই ফোন এসেছিল বলে দাবি তাঁর।
জোর রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়
তবে এদিন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি ঘিরে জোর রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে রাহুল সিনহা বলেন, এমন অভিযোগ আগে কখনও শুনিনি। রাজ্যপাল এখন সরকারের দুর্নীতি নিয়ে কথা বলছেন। আর সেই বিষয়ে কথা বলছেন বলেই তাঁকে নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে এদিন দাবি বিজেপি নেতার। এই বিষয়ে প্রমাণ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ সৌগত রায়
বলে রাখা প্রয়োজন গত কয়েকদিন আগে একই ভাবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফোনের অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছিলেন, তাঁকে নাকি রাজ্যপাল ফোন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছিলেন সৌগত রায়। আর এই বিতর্কের মধ্যেই ফের একবার বিস্ফোরক দাবি আরও এক তৃণমূল সাংসদের।
বিধানসভায় নিয়োগেও দুর্নীতি! জাল মার্কশিটে কাজ করছে TMC ক্যাডার, বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী