অবিলম্বে শিশির অধিকারী, সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজ করা হোক! স্পিকারকে ফোন সুদীপের
জল্পনা ছিলই। আর সেই জল্পনাকে সত্যি করেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শিশির অধিকারী। অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি। তবে তাঁদের জোর করেই একবার বিজেপিতে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বর্ষীয়ান এই সাংসদ।
জল্পনা ছিলই। আর সেই জল্পনাকে সত্যি করেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শিশির অধিকারী। অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তিনি। তবে তাঁদের জোর করেই একবার বিজেপিতে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন বর্ষীয়ান এই সাংসদ। এমনকি তৃণমূল থেকে পদত্যাগ করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তাতে যা ইচ্ছা তাঁরা করে নিতে পারে বলে দাবি সাংদের। শুধু তাই নয়, একই অবস্থা সুনীল মন্ডলেরও। আর এরপরেই বড়সড় সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের।
স্পিকারকে ফোন করলেন তৃণমূল সাংসদ
শিশির অধিকারী এবং সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের দাবির প্রসঙ্গে লোকসভার স্পিকারকে ফোন করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে কথা হয়েছে। যদিও সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার আবেদন জানুয়ারিতেই করা হয়েছে। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের দাবিতেও আবেদন করা হয়েছে। এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার ফের স্পিকারকে ফোন বলে দাবি সাংসদের।
ফাইল দেখে পর্যালোচনা হবে
বিষয়টি খতিয়ে দেখে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওম বিড়লা। তবে লকডাউনের কারণে যাওয়া হচ্ছে না দফতরে। গেলেই ফাইল দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে আশ্বাস ওম বিড়লার।
ভোটের আগে দলবদল
বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূলের দুই সাংসদ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একজন বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। অপরজন শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। এই দু'জনেরই সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারী, যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে জিতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, অবিলম্বে তাঁদের সাংসদ পদ খারিজ করতে হবে। জবাব দিয়েছে গেরুয়া শিবির। নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূলের এসব শোভা পায় না। ২০-২৫ জন বিধায়ককে ইধার-উধার থেকে এনেছে।
সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করছেন না কেন?
উল্লেখ্য ভোটের আগে শিশির অধিকারীর বিজেপি যোগ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থবাবু বলেন, "যাঁরা যাচ্ছেন তাঁরা যাবেন। আমরা চেষ্টা করলাম। এত বছর ক্ষমতা ভোগ করার পর ঠিক নির্বাচনের সময় চলে যাচ্ছেন। কিন্তু, সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করছেন না কেন? এত ভয় কীসের?" দিবে্যেব্দু প্রসঙ্গে পার্থবাবু আরও বলেন, "শুনছি ওঁর ছেলেও যাবেন। যেখানে খুশি সেখানে যান, সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করে যান।" যদিও এখনও পর্যন্ত তৃণমূলেইণ রয়েছেন দিবেন্দু।