খাবার খাচ্ছেন না মহানায়িকা, পছন্দের খাবার প্রিয়জনদের হাত দিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা চিকিৎসকদের
ফুসফুসে সংক্রমণ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি রয়েছেন সুচিত্রা। কখনও অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হচ্ছে। তো কখনও ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। খাবার মুখে তুলছেন না তিনি। স্বভাবতই নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে তাঁর শরীর। কিন্তু রক্তে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকায় স্যালাইন দিয়েও খাওয়ানো যাচ্ছে না মহানায়িকাকে। ফলে চিকিৎকরা চেষ্টা চালাচ্ছেন যদি মহানায়িকার পছন্দের খাবার তাঁর কাছের মানুষজনের হাত দিয়ে খাওয়ানো যায়।
ফুসফুসে সংক্রমণের অবস্থার কোনওরকম উন্নতি হয়নি
মহানায়িকার বয়সটাও চিকিৎসার ক্ষেত্রে একটা বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ফুসলফুসে জমে থাকা কফ বার করতে বিশেষ ফিজিওথেরাপি ব্যবহার করা হচ্ছে। যদিও হৃদযন্ত্র, পাল্স রেট স্বাভাবিক না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মোডিক্যাল টিম ছাড়াও দুজন পালমোনোলজিস্ট মিসেস সেনের চিকিৎসা করছেন।
মহানায়িকাকে এখনও নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে। ফুসফুসের সংক্রমণ এতটাই মারাত্মক অবস্থায় রয়েছে যে বেশি ডোজের অ্যানিটবায়েটিক দিয়েও সংক্রমণ কমানো সম্ভভ হচ্ছে না। অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় রাতভর হাসপাতালে ছিলেন মেয়ে মুনমুন সেন। ভোরের দিকে বাড়ি গেলেও ফের দুপুরে মাকে খাওয়ানোর জন্য নার্সিংহোমে যান মুনমুন।
গতকাল মহানায়িকার অবস্থার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় এক ঘন্টা মতো হাসপাতালে ছিলেন তিনি। মহানায়িকার চিকিৎসার বিষয়ে মোডিক্যাল টিমের সঙ্গেও কথা বলেছেন।