গানের রিল নেই, প্রযুক্তির অভাব, নানা অজুহাতে শহরতলির হলে মানা হচ্ছে না জাতীয় সঙ্গীত বাজানোর নির্দেশ
শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী প্রত্যেক সিনেমা হলে সিনেমা শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু এরাজ্যের শহরতলি ও গ্রামগঞ্জের সিনেমা হলগুলির অধিকাংশতেই তা মানা হচ্ছে না।
কলকাতা, ১৪ ডিসেম্বর : শীর্ষ আদালতের রায় অনুযায়ী প্রত্যেক সিনেমা হলে সিনেমা শুরুর আগে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু এরাজ্যের শহরতলি ও গ্রামগঞ্জের সিনেমা হলগুলির অধিকাংশতেই তা মানা হচ্ছে না।[সিনেমা হলে বাধ্যতামূলক জাতীয় সঙ্গীতের ব্যবহার, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
বিশেষ করে সবচেয়ে বেহাল অবস্থা জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে। বোলপুরের কোনও হলেই মানা হচ্ছে না সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা।[সেক্স করার আগে জাতীয় সঙ্গীত নয় কেন? সুপ্রিম কোর্টর নির্দেশকে আক্রমণ চেতন ভগতের]
কিন্তু কেন এমন অবস্থা? কয়েকটি হলের মালিকের দাবি, জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে শীর্ষ আদালতের কিছু নির্দেশিকা আছে, গানের সময়ও রয়েছে এর মধ্যে। তাই জাতীয় সঙ্গীতের যে কোনও সংস্করণ আমরা বাজাতে পারি না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশমতো নির্দিষ্ট সংস্করণের রিল আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি, তাই বাজানো সম্ভব হচ্ছে না।[চেন্নাইয়ে সিনেমা দেখতে গিয়ে মামলার মুখে পড়লেন ৭ জন]
এদিকে শহরতলির বেশ কিছু হলের মালিকের দাহি, পরিকাঠামো ও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেই সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানা সম্ভব হচ্ছে না। শহরতলির অধিকাংশ হলেই ডিজিটাল প্রযুক্তি চলে না, তাই জাতীয় সঙ্গীতের ডিজিটাল সংস্করণ দিলে হলগুলির পক্ষে তা চালানো সম্ভব নয়।[সিনেমাহলে যৌনাচার: হলের অন্ধকারে ২৮ জোড়া 'নগ্ন' তরুণ-তরুণীকে আটক করল পুলিশ!]
অনেকে আবার বলছেন, জাতীয় সংগীতের সময় হলে কে উঠে দাঁড়াচ্ছে কে দাঁড়াচ্ছে না তা নজর রাখা সম্ভব নয়।
শুধু এই নয়, কিছু কিছু হল মালিকদের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় আমরা খবরের কাগজের পাতায় দেখেছি। লিখিত কোনও নির্দেশিকা এখনও হাতে এসে পৌছয়নি। নির্দেশিকা হাতে পেলে জাতীয় সঙ্গীত চালাব।