বিজেপির অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছেন মতুয়ারা, শান্তনুর পর সুব্রতও হানলেন বাণ
বিজেপির অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠছেন মতুয়ারা, শান্তনুর পর সুব্রতও হানলেন বাণ
বিজেপিতে অস্বস্তি বাড়ালেন সুব্রত ঠাকুর। মতুয়া মহল থেকে ফের বিজেপিকে নিশানা করে বাণ হানলেন তিনি। ভাই শান্তনু ঠাকুরের পর বেসুরো দাদা সুব্রতও। সুব্রত ঠাকুর এবার মতুয়া সমাবেশের ডাক দিলেন। আগেই সিএএ নিয়ে সুর চড়িয়েছিলেন মতুয়ারা, অমিত শাহের কাছে দরবার করার বার্তা দিয়েছিলেন। এবার মতুয়া সমাবেশের ডাক দিলেন সুব্রত।
বিজেপিতে মতুয়া-অস্বস্তি চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। ২০১৯-এ সাফল্যের পরও মতুায়াদের প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়া থেকেই সূত্রপাত দ্বন্দ্বের। তা ২০২১-এর আগে খানিকটা সামলে নিলেও সিএএ বাস্তবায়নের দাবি পূরণ হয়নি। মতুয়াদের কোনও শর্তই পূরণ করতে পারেনি বিজেপি। তাই ছাই চাপা আগুনের মতো একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর মতুয়ারা বিজেপির বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে শুরু করেছেন।
মতুয়ারা বিজেপি থেকে সরে যাওয়া শুরু করতেই অস্বস্তিতে পড়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন তাঁদের পাশ থেকে জন সমর্থন সরে যাচ্ছে। ফলে তাঁরাও বিজেপিতে চাপ সৃষ্টি শুরু করেন। এ জন্য তাঁরা একটা সূত্র খুঁজছিলেন। সম্প্রতি বিজেপির সাংগঠনির রদবদলের পরই তাঁরা বিদ্রোহ করতে শুরু করেন।
প্রথমে বিদ্রোহী হন মতুয়া সম্প্রদায়ের বিধায়করা। বিজেপির পাঁচ বিধায়ক আক্রমণ হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বিদ্রোহ প্রকাশ করেন। তারপর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন। তাঁদের বিদ্রোহে শামিল হন বঙ্গ বিজেপির রাজ্যস্তরের অনেক নেতা-নেত্রীও। এই অবস্থায় মতুয়ারা বঙ্গে বিজদেপির একাংশের সমর্থন পেয়ে আন্দোলন তীব্র করার ডাক দেন।
আগের দিনই মতুয়াদের নিয়ে সিএএ রূপায়ণের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে দরবার করার কথা জানান বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। এবার তিনি বললেন মতুয়াদের সমাবেশের কথা। মতুয়াদের সমাবেশ করে তাঁরা সিএএ নিয়ে সরব হবে। তারপর অমিত শাহের কাছে দরবার করে অবিলম্বে সিএএ চালুর দাবি জানাবেন।
সিএএ নিয়ে বিজেপির উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিধায়করা। শান্তনু ঠাকুর একদিন দিয়ে বিদ্রোহীদের একজোট করার চেষ্টা করছেন। আর বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর মতুয়া সমাবেশের বার্তা দিচ্ছেন। এরইমধ্যে মতুয়াদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন শান্তনু। সেখানে বিজেপির বিধায়করা ছিলেন। এদিন আবার বিজেপির হরিণঘাটার বিধায়র অসীম সরকার শান্তনুর সঙ্গে দেখা করেন ঠাকুরনগরের বাড়িতে এসে।
সুব্রত ঠাকুর মতুয়াদের একজোট হওয়ার বার্তা দেন। সিএ্এ দাবিতে তিনি বলেন, মতুয়াদের এই দাবি দীর্ঘদিনের। সিএএ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিজেপি ভোট করেছিল। তাঁরাও জনপ্রতিনিধি হিসেবে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিজেপি তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে। কিন্তু সেই নাগরিকত্ব এখনও মেলেনি।