নন্দীগ্রামে শুভেন্দু ঠেকাতে তৃণমূলের 'ঢাল' সুব্রত! দেওয়া হল বিশেষ দায়িত্ব
নন্দীগ্রামে শুভেন্দু ঠেকাতে তৃণমূলের 'ঢাল' সুব্রত! দেওয়া হল বিশেষ দায়িত্ব
১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) নিজের লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করতেই পরের দিন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে কাজ। তবে চ্যালেঞ্জের নাম যেহেতু নন্দীগ্রাম এবং বিপক্ষে রয়েছে শুভেন্দু অধিকার মতো ব্যক্তি, তাই বাড়তি সতর্ক তৃণমূল কংগ্রেস (trinamool congress)। এব্যাপারে বাড়তি দায়িত্ব দিয়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার অন্যতম প্রবীণ সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে পাঠানো হচ্ছে সেখানে।
নন্দীগ্রামে থেকে 'জমি জরিপ'
তৃণমূল সূত্রে খবর, পয়লা ফেব্রুয়ারি নন্দীগ্রামে যাচ্ছেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। সেখানে তিনি তিনদিন থাকবেন। ব্লকগুলিতে ঘুরে সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দিয়েই নন্দীগ্রামের জমি জরিপের কাজটি সারতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। এব্যাপারে সুব্রত মুখোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি নন্দীগ্রামের প্রত্যেক বুথে যাবেন। বাড়িতেও যাবেন। জনগণের মতামত শুনবেন। সেখানকার সামগ্রিক পরিস্থিতি যাচাইয়ের চেষ্টা করবেন। তারপর কলকাতায় ফিরে তিনি দলকে রিপোর্ট দেবেন।
১৮ জানুয়ারি লড়াইয়ের কথা ঘোষণা মমতার
শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু জেলা কোঅর্ডিনেটর অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় সেই দিন পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি করা হয়। ১৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে তৃণমূলের সভায় গিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে বলেন, নন্দীগ্রামের প্রার্থী তালিকায় যেন তাঁর নাম রাখা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই নিজের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে দেন। বলেন ভবানীপুর তাঁর কাছে বড় বোন আর নন্দীগ্রাম তাঁর কাছে মেজ বোনের মতো। আর তার পরের দিন থেকেই দেওয়াল লেখার কাজ শুরু হয়ে যায়।
শুভেন্দু অধিকারীর চ্যালেঞ্জ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ঘোষণা করায় ৮ জানুয়ারি পাল্টা সভা করার কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূলের সূচিতে পরিবর্তন হলেও, শুভেন্দু অধিকারী সেখানে সভা করেন। তিনি ফের নন্দীগ্রামে সভা করেন ১৯ জানুয়ারি। সেই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঘোষণা করেন, মাননীয়াকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে হারাতে না পারলে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, মাননীয়াকে দাঁড়াতে হবে একটি কেন্দ্রে।
নন্দীগ্রামে একের পর এক কর্মসূচি শুভেন্দু অধিকারীর
এদিকে নন্দীগ্রামকে ঘিরে একের পর এক কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার তিনি সেখানে পদযাত্রা করেন। এরপর সেখানে সভা করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, নন্দীগ্রাম থেকে বড় ব্যবধানে হারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জমি নরম করার কাজ চলছে এখন। এরপর নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেই বীজ বপন করা হবে। আর ফল ঘোষণার দিন ফসল তুলে নিয়ে ঘরে যাবেন। মঙ্গলবারের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, আগে তিনি যেভাবে নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে ছিলেন, পরবর্তী সময়েও তাই থাকবেন। তিনি বামপন্থীদেরও পাশে থাকতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জয় শ্রীরাম হল পবিত্র শব্দ। মঙ্গলবার দুপুরে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় কৃষক চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়িতে গিয়ে মধ্যাহ্ন ভোজন সারেন শুভেন্দু অধিকারী।
সৌজন্যের ঘোর কাটিয়ে ফের স্বমহিমায় ধনখড়, একুশের ভোটকে ইঙ্গিত করে আমলাদের বার্তা রাজ্যপালের