বিজেপিকে ‘বিরাশি সিক্কা’র চড় কষাল সুপ্রিম কোর্ট! মোদী-শাহকে নতজানু-বার্তা সুব্রতর
পঞ্চায়েতের চূড়ান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিরাশি সিক্কার চড় খেল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চায়েত রায়ের পর আত্মবিশ্বাসী সুব্রত মুখোপাধ্যায় তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে।
পঞ্চায়েতের চূড়ান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিরাশি সিক্কার চড় খেল বিজেপি। সুপ্রিম কোর্টের পঞ্চায়েত রায়ের পর আত্মবিশ্বাসী সুব্রত মুখোপাধ্যায় তোপ দাগলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, সবথেকে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমরা পঞ্চায়েত নিয়ে বৃহস্পতিবারই একটা বৈঠক করি। তারপর তো সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে গেল যে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই আমরা পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করে দেব। এখনও কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে আর একমাস পিছিয়ে গেলে সমস্যা হত উন্নয়ন প্রকল্পে। এদিনের পঞ্চায়েত রায়কে হারজিতের নিরিখে ব্যাখ্যা করতে চাননি পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, বিরোধীদের অভিযোগকে গ্রাহ্যই করেনি আদালত। একেবারে ঝামা ঘষে দিয়েছে ওদের মুখে। থোঁতা মুখ ভোঁতা হয়ে গিয়েছে বিরোধীদের।
[আরও পড়ুন:বিজেপির ২০১৯-চ্যালেঞ্জ নিলেন অনুব্রত, সুপ্রিম-জয়ে দিলীপকে 'পাগলের প্রলাপ' কটাক্ষ ]
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর বাংলার জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বিরোধীদের। বিশেষ করে অমিত শাহ, নরেন্দ্র মোদীরা যে অভিযোগ করেছিলেন, তার জন্য বাংলার মানুষের কাছে নতজানু হয়ে ক্ষমতা চাওয়া উচিত ওঁদের। তাঁর কথায়, এদিন সুপ্রিম কোর্টে পঞ্চায়েত রায় থেকে বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস শিক্ষা নিক। এদিন যে শিক্ষা পেলেন বিরোধীরা, তা আসলে বিরাশি সিক্কার চড় বলে ব্যাখ্যা করলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী জানান, যে সমস্ত পঞ্চায়েত, সমিতি ও জেলা পরিষদে বোর্ড গঠন স্থগিত ছিল, তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হয়ে যাবে। আগামীকাল থেকেই পঞ্চায়েত প্রশিক্ষণ শুরু করে দেওয়া হবে বলে জানান সুব্রতবাবু। তিনি আরও বলেন, সাতখানা পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। এই প্রজেক্টের দৌলতে বাংলা আবার ভারত-সেরা হবে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূল ভাবছে বিরাট জয়, আদতে গণতন্ত্রের হত্যা হল রাজ্যে! সমালোচনা অধীরের]
তাহলে কি পঞ্চায়েত মামলায় এই জয় আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে অক্সিজেন জোগালো তৃণমূলকে? এই প্রশ্নের উত্তরে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানান, সুপ্রিম কোর্টে রায়ের পর ৪২টা আসন প্রাপ্তির বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে গেল। এবার লোকসভা নির্বাতনে ৪২-এ ৪২ হবে, আমরা আরও নিশ্চিত হয়ে গেলাম। সুপ্রিম কোর্টে রায়ের ফলে তৃণমূল আরও উদ্দম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে লোকসভায়। বিরোধীদের টিকি খুঁজে পাওয়া যাবে না ২০১৯-এর নির্বাচনে।
[আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে বিরাট-জয় তৃণমূলের, চারমাসের লড়াই শেষে শীর্ষ-রায়েও সবুজ ঝড় বাংলায় ]