পঞ্চায়েতে প্রার্থী হবেন কারা, চূড়ান্ত করে ফেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস! জানালেন খোদ সুব্রত
যারা ভালোবেসে দল করছেন, সেইসব পুরনো কর্মীরাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট কবে হবে সেই ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়। আর সেই ইঙ্গিতের পর এদিন পঞ্চায়েতে কারা শাসক দলের টিকিট পাচ্ছেন, তাও চূড়ান্ত করে ফেললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, 'যারা ভালোবেসে দল করছেন, সেইসব পুরনো কর্মীরাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী তালিকায় অগ্রাধিকার পাবেন।'
হাওড়ায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সম্মেলন থেকে সুব্রত বক্সি দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে বলেন, 'দল সবার আগে গুরুত্ব দেবে তাঁদেরই, যাঁরা পদের জন্য দল করে না, ভালোবেসে দল করে।' দলের প্রতি আন্তরিকতাই হবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট পাওয়ার চাবিকাঠি। তাঁর কথায়, 'কিছু নেতা-কর্মী আছেন, যাঁরা শুধু পদের লোভে পার্টি করে। কিন্তু আমরা তাঁদেরকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই।'
তিনি হাওড়ার সম্মেলনে স্পষ্ট করে দেন, 'গোষ্ঠীকোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূল চায় না ভোটের টিকিট নিয়ে গোষ্ঠীকোন্দল হোক। তার কারণ, এবারের ভোট শুধু গ্রামের যুদ্ধ নয়, এবারের ভোট ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল। বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে হটাতে হবে। তার আগে পঞ্চায়েতে হবে লোকসভার মহড়া।'
তাঁর কথায়, 'সেই লক্ষ্য নিয়েই এবার নামতে হবে পঞ্চায়েত ভোটে। পঞ্চায়েত ভোটে জেতার পাশাপাশি এই ভোট থেকেই বিজেপিকে বিদায় বার্তা পাঠাতে হবে। তাই দলাদলি বন্ধ করে একযোগে ভোট-যুদ্ধ ঝাঁপিয়ে পড়ার বার্তা দেন তিনি। আগে থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয় টিকিট নিয়ে লড়াই করে বিরোধী দলে যোগ দিয়ে বা নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে ভোট কাটাকাটি করে বিরোধীদের সুযোগ করে দেবেন না।'
সুব্রতবাবু বলেন, 'রাজ্যের মানুষের পূর্ণ আস্থা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি। সেই বিশ্বাসের মূল্য দিতে হবে নিচুতলার নেতা-কর্মীদের। বিরোধীদের হাত শক্ত করে রাজ্যের মানুষকে অপমান করবেন না।' তিনি এদিন সবাইকে আহ্বান জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার।
[আরও পড়ুন: ভাঙনের ঠেলায় 'মর্যাদা'য় কোপ! বিধানসভায় কংগ্রেসকে সংখ্যালঘু করতে মরিয়া তৃণমূল]