মমতার রদবদলেও বড় ফ্যাক্টর হয়ে রইলেন শুভেন্দু! ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
মমতার রদবদলেও বড় ফ্যাক্টর হয়ে রইলেন শুভেন্দু! ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
২০২১-এর লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই কারণেই সংগঠনকে ঢেলে সাজিয়েছেন তিনি। জেলা জেলায় পর্যবেক্ষক পদ বাতিল করে কো অর্ডিনেটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে শুভেন্দুর অধিকারীকে নিয়ে। কেননা রাজ্যের স্টিয়ারিং কমিটিতে সাতজনের একজন হওয়া ছাড়া শুভেন্দু কিছুই পাননি।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু ফ্যাক্টর
আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু অনুগামীদের মুখভার উপযুক্ত গুরুত্ব না পাওয়ায়। তাঁরা মনে করেন, শুভেন্দু অধিকারীর যে ক্যারিশ্মা বা যোগ্যতা রয়েছে, তৃণমূলে তাঁকে সেইভাবে ব্যবহার করছে না। এবং তাঁকে গুরুত্বশালী পদও দিচ্ছে না। অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যরা পদ আলো করে বসে আছেন।
শুভেন্দুর গুরুত্ব খর্ব কেন, প্রশ্ন অনুগামীদের
তৃণমূল সুপ্রিমো দলে রদবদল করলেন, কিন্তু চিরকালীন এই দ্বন্দ্বের নিবৃত্তি ঘটানোর কোনও চেষ্টা করলেন না। ফলে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে শুভেন্দু অনুগামীদের চ্যালেঞ্জ নিয়েই চলতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অন্তত পাঁচটি জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন। এখন সেই পদই উঠে গিয়েছে। ফলে জেলার দায়িত্ব এই মুহূর্তে নেই শুভেন্দুর হাতে।
কো-অর্ডিনেটরদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন শ্রেয় মানছে
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনভাবে তাঁর টিম সাজাতে চাইছেন যাতে জেলার নেতারা জেলাতেই মনোনিবেশ করতে পারেন। সেইমতোই জেলার নেতাদেরই কো-অর্ডিনেটর হিসেবে রাখা হয়েছে। পর্যবেক্ষকদের ছেড়ে কো-অর্ডিনেটরদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়াই তিনি শ্রেয় মনে করেছেন।
শুভেন্দুর গুরুত্ব যখন প্রশ্নের মুখে
সেইমতো শুভেন্দুর এবার বেশি করে কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁর পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেই। এছাড়া তাঁকে স্টিয়ারিং কমিটিতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব ছাড়াও তাঁকে কীভাবে কাজে লাগান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং বিতর্ক এড়াতে তাঁর গুরুত্ব কীভাবে বাড়ান সেটা ভবিষ্যৎই বলবে।
রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হোক যোগ্যতার মাপকাঠিতে
কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছেন না তাঁর গুরুত্ব নিয়ে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই প্রসঙ্গে ঝড় উঠেছে। আওয়াজ উঠেছে, জঙ্গলমহল থেকে পাহাড় শুভেন্দুদাকেই দরকার। এমনও দাবি করা হয়েছে, রাজ্য সভাপতি নির্বাচন হোক যোগ্যতার মাপকাঠিতে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়, একুশের আগে ভাবছে তৃণমূল
এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু ও শুভেন্দু অনুগামীদের মানভঞ্জন না করলে ২০২১-এর নির্বাচনের আগে অসুবিধায় পড়তে হতে পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা পোস্ট তৃণমূল নেতৃত্বকে বেকায়দায় ফেলে দেবে। শুভেন্দুকে গুরুত্বহীন করে দেওয়ার প্রয়াস জারি থাকলে ভবিষ্যতে যে আরও সংকট বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।
বিজেপিতেই ছিলাম, আছি, থাকব! জল্পনা উড়িয়ে স্পষ্ট বার্তা মুকুল রায়ের