সুপারিকিলার আমদানি করে বিজেপি! মোদীর ‘সব কা বিকাশে’র স্লোগান-কটাক্ষে শুভেন্দু
ক্ষমতায় এসেই রাজ্যে খুনোখুনির রাজনীতি বন্ধ করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু বিজেপি আবার ভিনরাজ্য থেকে সুপারিকিলার এনে রাজ্যে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করেছে। মানুষ খুন করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এবার বিজেপিকে এই ভাষাতেই আক্রমণ করলেন।

জামবনির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যে খুনোখুনি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বিজেপি নতুন করে অশান্তি সৃষ্টি করছে। বাইরে থেকে সুপারি কিলার এনে অশান্ত করছে বাংলাকে। এ রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিই উত্তপ্ত হচ্ছে। বাইরে থেকে টাকা-পয়সা দিয়ে লোক এনে রাজ্যে অশান্তি পাকানোর জন্যই এইসব ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ মন্ত্রীর।
তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, এরা নাকি ভারত গড়ার স্লোগান দেয়। তা কী করে ভারত গড়বে এরা। যারা বাইরে থেকে লোক এলে রাজ্যে অশান্তি ছড়ায়। রাজ্যের বাস ভেঙে দেয়, তারা রাজ্যে ক্ষমতায় আসবেই বা কী করে, আর রাজ্য গড়বে-দেশ গড়বেই বা কী করে। শুভেন্দু অভিযোগ করেন, বনধের দিন ৫৫টি বাস ভেঙেছে বিজেপি। তার মধ্যে ৪০টি বাস সরকারি।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য মতুয়া ভোট-ব্যাঙ্ক, বিজেপিকে ঠেকাতে বড়মার দুয়ারে 'আশীর্বাদ'-প্রার্থী মমতা]
তিনি এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। তিনি বলেন, মুখ সবকা সাথ সবকা বিকাশের বুলি আওড়াচ্ছেন আর মনে হিংসার জাল বুনছেন। সেইমতো সবকা সাথ সবকা বিকাশের স্লাগান দিয়ে ভাঙচুর করা হল। এর দায় তো নিতেই হবে। তাই আমি বলেছিল এখনই বাস না সারাতে। প্রতিটি লাইব্রেরিতে ভাঙচুরের কালার ছবি পাঠাতে বলেছি। আমরা চাই মানুষ দেখুক বিজেপির ক্রিয়াকলাপ।
[আরও পড়ুন: মোদীর 'প্রশংসা' অন্যতম বিরোধী নেতার! লোকসভা ভোটের আগে নতুন জোটের ইঙ্গিত ]
তিনি এদিন ফের বলেন, ইসলামপুরে পুলিশের উপর হামলা ও বাসে ভাঙচুরের ঘটনায় যে ১৭জনকে গ্রেফতার করা হয়, তাদের মধ্যে সাতজন বহিরাগত। এই সাতজনই বিহারের লোক। এদের ভাড়া করে আনা হয়েছিল মারামারি, ভাঙচুর, অশান্তি পাকানোর জন্য। তৃণমূল যে মিথ্যা অভিযোগ করেনি, তার প্রমাণ বহিরাগত গ্রেফতার। এক-আধজন নয়, সাতজন বহিরাগত গ্রেফতার হয় ইসলামপুর অশান্তিতে।