‘অরাজনৈতিক’ শুভেন্দুর মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের ভিড়! একুশের আগে জোর জল্পনা
শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি অরাজনৈতিক সভা করছেন। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে তিনি সমান্তরাল জনসংযোগে দলকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি অরাজনৈতিক সভা করছেন। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে তিনি সমান্তরাল জনসংযোগে দলকে চাপে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারই অঙ্গস্বরূপ সম্প্রতি যে অনুষ্ঠান করলেন শুভেন্দু, সেখানে দলে দলে হাজির তৃণমূল নেতারা। তাঁরাই কর্মসূচির ব্যবস্থাপনায়, অথচ তৃণমূলের নাম নেই ছিঁটেফোটা।
শুভেন্দুর কৌশলে চাপবৃদ্ধি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের
শুভেন্দুর এই কৌশল ফের তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে চাপে রেখে দিল। শুভেন্দুর অনুগামী নেতাদের উপস্থিতি একুশের ভোটের আগে তৃণমূলের রক্তচাপ বাড়িয়ে দেবে বলাই বাহুল্য। দীর্ঘদিন ধরে নানা কথায় একুশের নির্বাচনের আগে জল্পনার জটাজাল তৈরি হচ্ছে। এখন শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য-রাজনীতিতে চর্চার অপর নাম হয়ে উঠেছেন।
শীর্ষ নেতৃত্বকে শক্তি দেখালেন শুভেন্দু অধি্কারী
নেতাইয়ের অনুষ্ঠানে শুভেন্দুর বক্তব্য নিয়েই যখন চর্চা চলছে রাজ্য রাজনীতিতে, তখন শুভেন্দুর কর্মসূচিতে তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি, কো-অর্ডিনেটরদের উপস্থিতি নিয়েও কম আলোচনা হচ্ছে না। অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে কেন তৃণমূলের পদাধিকারীরা গেলেন, তা পরিষ্কার তৃণমূলের কাছে। শুভেন্দু আসলে জেলায় তাঁর শক্তি দেখালেন শীর্ষ নেতৃত্বকে।
রাজনীতির মঞ্চ না হলেও ঝড় তুলতে পারেন শুভেন্দু
শুভেন্দুর এই পদক্ষেপে জল্পনা তৈরি হয়েছে, তবে কি শুভেন্দু পৃথক কোনও মঞ্চ তৈরি করতে চাইছেন? নাকি শুভেন্দু শুধু তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব ও কৌশলবিদকে দেখিয়ে দিলেন রাজনীতির মঞ্চ না হলেও তাঁর ডাকে কত নেতা-নেত্রী সাড়া দিতে পারে। কত মানুষ আসতে পারে। একজন জননেতা ও জনসেবক হিসেবে তিনি নিজের পরিচিতি গড়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই।
দায়বদ্ধতা ও লক্ষ্যপূরণের কথায় সংশয় তৈরি
এরই মধ্যে দলের ব্যানার ছাড়া কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে নেতাইয়ের সেবক বলে দাবি করেছেন। দিয়েছেন দায়বদ্ধতার বার্তা। তাতেই জল্পনার পারদ চড়েছে। দায়বদ্ধতা ও লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে তিনি কর্ম করে যাবেন। কেউ তাঁকে সরাতে পারবে না সেই ক্ষেত্রে থেকে। এই কথায় তিনি জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন।
শুভেন্দু সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ তুললেন কেন?
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তাঁকে কেউ কোনওদিন সরিয়ে দিতে পারবে না লক্ষ্য থেকে, কর্ম থেকে, দায়বদ্ধতা থেকে। রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়। কে সরাবে তাঁকে, কেনই বা সরাবে? তবে কি তাঁকে কেউ সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে? রাজনীতি থেকে বা দল থেকে! তা না হলে সরিয়ে দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠবে কেন?