রাস্তায় নামবেন তিনিও! মহিষাদলের অরাজনৈতিক সভা থেকে 'কর্মসূচি' ঘোষণা শুভেন্দুর
জনতাই শেষ কথা বলে। পুরো ব্যবস্থাটাই জনতার জন্য। ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, অফ দ্য পিপলের জন্য। আর তিনি বাংলা ও বাঙালির সেবক হিসেবে কাজ করবেন। এদিন মহিষাদলের অরাজনৈতিক সভা থেকে এমনটাই বললেন শুভেন্দু অধিকারী (subhendu adhikari)।
জনতাই শেষ কথা বলে। পুরো ব্যবস্থাটাই জনতার জন্য। ফর দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, অফ দ্য পিপলের জন্য। আর তিনি বাংলা ও বাঙালির সেবক হিসেবে কাজ করবেন। এদিন মহিষাদলের অরাজনৈতিক সভা থেকে এমনটাই বললেন শুভেন্দু অধিকারী (subhendu adhikari)।
অভিষেকের সভায় 'অনুপস্থিত' নিজের কেন্দ্রের তৃণমূলের দুই বিধায়ক, জল্পনা তুঙ্গে
মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর প্রথম সভা
শুক্রবার মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকে তাঁকে মিডিয়ার সামনে পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে এদিনের সভা অরাজনৈতিক হলেও, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর এটাই ছিল শুভেন্দু অধিকারীর প্রথম সভা।
কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেননি শুভেন্দু অধিকারী
মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন আগেই। অনেকেই ধারণা করেছিলেন নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে যদি কোনও বার্তা দেন শুভেন্দু অধিকারী। না এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী কোনও রাজনৈতিক বার্তা দেননি। তবে তিনি বলেছেন, সংবিধানের শক্তিতে মানুষই শেষ কথা বলে। তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেও কোনও কথা তাঁকে বলতে শোনা যায়নি। আগের সভাগুলিতেও যা বলেননি তিনি, মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তিনি কিছু বলতে পারেন বলে অনেকেই ধারণা করেছিলেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী আগেই জানিয়েছিলেন, নির্দিষ্ট কথা বলার জন্য স্থান, কাল খুব ভাল করে জানেন তিনি।
লোক সমাগম হয়েছিল ব্যাপক
স্বর্গীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী রণজিৎ কুমার বয়ালের স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে ছিল এদিনের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে ব্যাপক লোক সমাগম হয়েছিল। অনেকেই বলছেন মহিষাদলের রাজবাড়ির ছোলাবাড়িতে হওয়া এই সভায় সাম্প্রতিক কালে এত ভিড় হয়নি। নিজের বক্তব্যে বড় অংশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবসে পূর্ব মেদিনীপুরের অবদানের কথা স্মরণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। এব্যাপারে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠনের কথা। তিনি বলেন, তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার স্বাধীনতা পেয়েছিল ১৯৪৭ সালে নয়, ১৯৪২ সালে।
অরাজনৈতিক কর্মসূচির ঘোষণা
এদিনের সভা থেকে নিজের অরাজনৈতিক কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ৩ ডিসেম্বর ক্ষুদিরামের জন্মবার্ষিকী, ১৫ ডিসেম্বর সর্বাধিনায়কের জন্মদিন এবং ১৭ ডিসেম্বর তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠা দিবস প্রতিবারের মতো এবারও পালন করবেন। প্রতিবছরের মতো এবছরও তিনি রাস্তায় থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
যাঁরা ছিলেন মঞ্চে
অরাজনৈতিক সভা হলেও, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে কারা মঞ্চে থাকেন, তা নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল। এদিন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মঞ্চে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন, জেলা পরিষদের সদস্য সোমনাথ ভুঁইয়া, জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী, জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডা, তৃণমূলের হলদিয়া ব্লক সভাপতি সুব্রত হাজরা, নন্দকুমারের ব্লক সভাপতি সুকুমার বেরার মতো নেতারা।