শুধু ভোট চাই, ভোট দাও করলে চলবে না! কোন শক্তিতে ভর করে তিনি এগোচ্ছেন, ব্যাখ্যা করলেন শুভেন্দু
শুধু ভোট চাই, ভোট দাও করলে চলবে না! কোন শক্তিতে ভর করে তিনি এগোচ্ছেন, ব্যাখ্যা করলেন শুভেন্দু
শুধু ভোট চাই, ভোট দাও, ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও-এর মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না। প্রচলিত গণ্ডির বাইরে বেরোতে হবে। এদিন তমলুকের নিমতৌড়িতে অরাজনৈতিক সভায় এমনটাই বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী ( subhendu adhukari)। বুধবার বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পরে এটাই ছিল তাঁর প্রথম সভা।
জনশক্তিই আসল শক্তি
এদিন নিমতৌড়িতে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তাঁর জনশক্তি আছে। সেই শক্তিই আসল শক্তি। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হওয়া অরাজনৈতিক সভায় এদিন যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে এদিন বলেন, সুশীল ধারা, সতীশ সামন্ত, অজয় মুখোপাধ্যায়রা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। ব্রিটিশ ভারতে তমলুকের ২১ মাসের জাতীয় সরকারের স্মৃতিচারণ করেন তিনি।
প্রচলিত গণ্ডির বাইরে বেরোতে চান
তিনি এদিন প্রচলিত গণ্ডির বাইরে বেরনোর বার্তা দেন। তিনি বলেন শুধু মাত্র ভোট চাই ভোট দাও, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও-এর মধ্যে আটকে থাকলে চলবে না। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২১ মাসের সরকারকে ব্রিটিশ সরকারও ফেলে দিতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, এবার অনেক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি এসেছেন। কটাক্ষ করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, যাঁরা এই জাতীয় সরকারের ইতিহাস জানে না, তাঁরা শুরু ভোট চায়। পাঁচ মিনিটের সংক্ষিপ্ত ভাষণ শেষে তিনি বলেন, বন্দেমাতরম।
শোভাযাত্রায় শুভেন্দু অধিকারী
সংক্ষিপ্ত ভাষণ দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তাঁর হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। পাশে ছিলেন, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতা কনিষ্ক পণ্ডা। শোভাযাত্রায় ছিল ঢাক, ঢোল, কাঁসর, ঘন্টা। তিনি বলেন, পদযাত্রার পরেই তিনি প্রস্থান করবেন। কেননা সারাদিন তাঁর নানা কর্মসূচি রয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন তিনি কলকাতায় আসবেন। সেখানে উত্তরবঙ্গের কয়েকজন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী যোগ দিলেও, এই বছরের অনুষ্ঠানে তাঁকে ঘিরে বাড়তি আগ্রহ তৈরি হয়েছে, মিডিয়া ও সাধারণ মানুষের মনে। সভায় শুভেন্দু অধিকারী কী বলেন, তার দিকেই সবার নজর ছিল বেশি। কিন্তু এদিন তাঁকে রাজনৈতিক ভাষণের দিকে সেরকমভাবে যেতে দেখা যায়নি।
শুভেন্দু অনুগামীদের ব্যাখ্যা
শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা 'দাদা' এদিনের ভাষণ সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলছেন, তিনি এদিন ভোটপ্রার্থীদেরই নিশানা করেছেন। পাশাপাশি তিনি তাঁদেরকে নিশানা করেছেন, যাঁরা শুধুমাত্র স্থানীয় কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকেন, তাঁদেরকে। এছাড়াও তিনি এদিনের সভা থেকে বহুদলীয় গঠনমূলক গণতন্ত্রের কথা বলতে চেয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন বলেও মন্তব্য করেছেন দাদার অনুগামীরা।
জিতেন্দ্রকে চাইছে না বিজেপি? শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পর ক্রমেই বাড়ছে ধোঁয়াশা