করোনায় অসুস্থ হওয়ার পরেও ফোন করেননি দু-একজন শীর্ষ নেতা! কাদের ইঙ্গিত শুভেন্দুর
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি ৩ লক্ষ ম্যাসেজ পেয়েছেন। এদিন নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনী থেকে এই কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী( subhendu adhikari)। এইসভাতেই শুভেন্দু বলেন তিনি ঘোষিত অকৃতদার। কলেজ
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তিনি ৩ লক্ষ ম্যাসেজ পেয়েছেন। এদিন নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনী থেকে এই কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী( subhendu adhikari)। এইসভাতেই শুভেন্দু বলেন তিনি ঘোষিত অকৃতদার। কলেজ রাজনীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতেই আজকের রাজনৈতিক জীবনে এসেছেন তিনি।
নারদ মামলায় টাকা নেননি মুকুল রায়! কলকাতায় ম্যাথু স্যামুয়েলের মন্তব্যে জল্পনা
তিনি ঘোষিত অকৃতদার
অনেকেই তাঁকে প্রশ্ন করেন, কেন বিয়ে করেননি। এদিন নন্দীগ্রামের বিজয়া সম্মিলনীর সভা থেকে এনিয়ে মন্তব্য করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে তিনি বলেন, কোনও লোককে দেখে নয়, বই পড়েছিলেন। অধ্যাপক প্রদ্যোৎ মাইতির বই পড়েছিলেন। সতীশবাবু, সুশীলবাবু, অজয়বাবু। তাঁরা বলেই গিয়েছিলেন অকৃতদার ছিলেন মানুষের জন্য। কোনও পিছুটান যেন না থাকে। কখন বেরোন, কখন ঢুকছেন, কেউ যেন না খোঁজ করে। পরিবার যেন ছোটোর মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে, বড় পরিবার কর। তাই তিনি ঘোষিত অকৃতদার।
কলেজ জীবনে রাজনীতির বর্ণনা
এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কয়েকদিন পরে তাঁর বয়স ৫০ হয়ে যাবে। ১৯৮৭ সালে তিনি কলেজে ঢোকেন। কিন্তু প্রথম বছরটা কী করবেন, তা তিনি ঠিক করতে পারছিলেন না। ১৯৮৮ সাল থেকে ক্লাসের সিআর। সেইবছর গেমস সেক্রেটারি দিয়ে শুরু। ১৯৮৯ সালে উচ্চ মাধ্যমিক। ওই বছরে অ্যাকাউন্টেন্সি অনার্স নিয়ে ফার্স্ট ইয়ার। সেবছরই জিএস। ১৯৯৫ সালে অবিভক্ত কংগ্রেসের হয়ে হাত চিহ্নে কাউন্সিলর। এই সময়ই তিনি বলেন, প্যারাসুটে নামেননি, লিফটেও ওঠেননি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতেই তিনি ওপরে উঠেছেন।
বিনয় কোনার ও লক্ষ্মণ শেঠের কথা উল্লেখ
এদিন সভা থেকে বাম আমলে নেতাদের হুঁশিয়ারির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন বিনয় কোনার বলেছিলেন চারদিক থেকে ঘিরে লাইফ হেল করে দেব। আর লক্ষ্মণ শেষ বলেছিলেন নয়াচরে ঢুকলে ঠ্যাং কেটে হাতে ধরিয়ে দেব। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেদিন লক্ষ্মণ শেঠ ওই কথা বলেছিলেন, তারপর দিন তিনি নয়াচরে গিয়েছিলেন। এব্যাপারে তিনি চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির-এর উল্লেখ করেন।
লকডাউনে চোখ খুলেছে
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, লকডাউনে চোখ খুলে গিয়েছে তাঁর। নিজের কেন্দ্র নন্দীগ্রামের প্রায় ১৫ হাজার লোক পেটের ক্ষুধার জন্য, সংসার চালানোর জন্য, কেউ সুরাত, কেউ পুনে, কেউ দিল্লিতে থাকে। এপ্রসঙ্গে তিনি জানান, বেশিরভাগ ফোন তিনি নিজেই ধরেন। এছাড়া ম্যাসেজ এবং হোয়াটসঅ্যাপ দেখেন, উত্তর দেন। কেউ তাঁকে মালা পরিয়েছে, কেউবা গালাগালিও দিয়েছে। তিনি বলেন জনপ্রতিনিধি হতে গেলে ধৈর্য থাকতে হবে।
কোভিড আক্রান্ত হওয়ার পর ৩ লক্ষ ম্যাসেজ
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। তিনিও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর থেকে বহু মানুষ তাঁর জন্য মন্দির, মসজিদে প্রার্থনা করেছেন। এদিন তিনি বলেন, ৩ লক্ষ ম্যাসেজ পেয়েছেন। তবে তাঁর মোবাইলে ৬০ হাজার করে ধরে। যাঁরা তাঁকে ভোট দেন না, তাঁরাও তাঁকে সুস্থ হওয়ার জন্য বার্তা পাঠিয়েছিলেন। অনেকেই ফোন করেছেন তাঁকে। তবে দু-একজন করেননি, তাঁদের নাম বললে বিপদ হয়ে যাবে।
{quiz_408}