শুভেন্দুকে নিয়ে ফের জল্পনার পারদ চড়ছে রাজ্য-রাজনীতিতে, কেন এখনও মুখ খুলছেন না তিনি
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলছেই। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি যোগ দিচ্ছেন না দলীয় কোনও কর্মসূচিতে। সমান্তরাল জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা চলছেই। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি যোগ দিচ্ছেন না দলীয় কোনও কর্মসূচিতে। সমান্তরাল জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর অনুগামীরা। এইসব নানা কারণে তাঁর বিজেপি-যোগ নিয়ে নানা কল্পকথায় ভর্তি করছে সোশ্যাল মিডিয়ার পেজ। তাহলে কেন সরাসরি মুখ খুলছেন না নন্দীগ্রামের সূর্যোদয়ের মহানায়ক!
দূরে দূরে থাকছেন শুভেন্দু, বাড়ছে জল্পনা
তৃণমূলে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি দূরে দূরে থাকছেন। তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি এড়িয়ে যাচ্ছেন, এমনকী দলের কোনও বৈঠকেও তিনি যাচ্ছেন না। তবে একেবারে বসে নেই তিনি। তিনি প্রতিদিনই নিজের মতো করে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক কাজ করছেন, হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন সাহায্যের। তাই আরও একবার নতুন করে জল্পনার পারদ চড়েছে।
কম গুরুত্ব, গরহাজিরা বাড়ছে শুভেন্দুর
দলের কোনও কাজে না গেলেও মন্ত্রী হিসেবে তিনি দফতরের কাজ সামলাচ্ছেন। দলের কাজে তাঁর এই এড়িয়ে যাওয়া চলছে রাজ্য কমিটি গঠনের সময় থেকেই। এই কমিটিতে তাঁকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে তাঁর অনুগামীদের অভিযোগ। তারপর তিনি সমন্বয় কমিটির বৈঠকেও গরহাজির থেকেছেন। তিনটি ক্যাবিনেট বৈঠকেও তিনি হাজির হননি।
বৈঠক এড়ালেই বিজেপি-যোগের জল্পনা
যদিও ক্যাবিনেট বৈঠকে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের তরফে। ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর পরিবারের অনেক সদস্য করোনা আক্রান্ত। সেই কারণেই তিনি ক্যাবিনেট বৈঠকে যাননি। কিন্তু তারপরও জল্পনা ঠেকিয়ে রাখা যাচ্ছে না। শুভেন্দু কোনও কারণে তৃণমূল বা রাজ্যের বৈঠক এড়ালেই বিজেপি-যোগের জল্পনা শুরু হয়ে যাচ্ছে।
তবু থামেনি শুভেন্দুকে নিয়ে জল্পনার ঘনঘটা
এক্ষেত্রে অতি সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, তাঁর নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের দলে একজনই নেত্রী, বাকি সবাই সৈনিক। তা আবার তৃণমূল মুখপাত্র দেবাংশুর ফেসবুক পেজে পোস্ট করা হয়। তারপরও থামেনি জল্পনার ঘনঘটা। সোশ্যাল মিডিয়া উত্তাল শুভেন্দুকে নিয়ে।
কেন শুভেন্দু মুখ খুলছেন না?
রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুভেন্দু মুখ খুলছেন না? কেন কোনও উত্তর দিচ্ছে না সর্বসমক্ষে। তাঁর নীরবতা জল্পনাকে আরও দ্বিগুণ করে দিচ্ছে। সম্প্রতি জল্পনার পারদ এমন জায়গায় চলে গিয়েছিল যে, শুভেন্দুকে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে কিছু মিডিয়া বিজেপিতে যোগদান করিয়ে দিয়েছিল। তারপরই শুভেন্দু আইনটি নোটিস ধরান একাংশ সংবাদমাধ্যমকে। তারপর ফের বাড়ছে রটনা।