শুভেন্দুর আন্দোলনেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা! কোথায় ভাইপো, অধীরের প্রশংসা নিয়ে জল্পনা
কোথায় ভাইপো! শুভেন্দুর আন্দোলনেই মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা, অধীরের প্রশংসা নিয়ে জল্পনা
রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে (subhendu adhikari) নিয়ে জল্পনার পারদ তুঙ্গে। তারই মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(mamata banerjee)কে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারীর প্রতি যথেষ্টই নরম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি এদিন বলেন, অধিকারীরা না থাকলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অমিত শাহের সফরে শুভেন্দুকে নিয়ে আলোচনা
অমিত শাহের সাম্প্রতিক রাজ্য সফরের সময় শুভেন্দু অধিকারীর নাম বারে বারে উঠে এসেছে। তাঁর সঙ্গে বিজেপির কোনও কথা হয়েছে কিনা, সেই প্রশ্ন অমিত শাহের সামনে উঠে এসেছে। যা শুনে অমিত শাহ বলেছেন, শুভেন্দু কিংবা সৌরভ নয়, অনেক নামই তাদের কাছে আছে।
অধিকারীরা না থাকলে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না মমতা
এদিন সকালে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, অধিকারীরে না থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না। তিনি আরও বলেন. নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নন্দীগ্রামে আন্দোলন করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই আন্দোলনের কারণেই আজ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তৃণমূলে সম্মান পাননি শুভেন্দু
শুভেন্দু কোন দিকে যেতে পারেন, সেসম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে অধীর বলেন, শুভেন্দু কোন দিকে যাবেন তা তিনি বলতে পারছেন না। তবে তিনি যেটুকু বুঝতে পারছেন, তাতে বলা যায়, তৃণমূলে তিনি যোগ্য সম্মান পাননি। কটাক্ষ করে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যো তাঁকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু কাজ হয়ে যাওয়ার পর আর দেখেননি। যদি কারও যোগ্যতা থেকে থাকে, আর তাঁর সঙ্গে যদি এমনটা হয়, তাহলে তিনি অন্যকিছু ভাবতে বাধ্য বলেও মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী।
আন্দোলনের সময় কোথায় ভাইপো
২০০৭ সালের শুরু থেকে নন্দীগ্রামের আন্দোলন শুরু হয়। চলে সেই বছর ধরে। এব্যাপারে অধীর চৌধুরী কটাক্ষ করে বলেন, নন্দীগ্রামের আন্দোলনের শুরুতে কোথায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় কোথায় ছিলেন ভাইপো। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সময় তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। শুভেন্দু কী ভাবে আন্দোলন করেছিলেন, সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিকরা কীভাবে তার ওপর ভরসা করেছিলেন, তা তিনি দেখেছেন। যা নিয়ে তিনি মিথ্যা বলতে পারবেন না।
অধীরকে হারাতে শুভেন্দুকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এই অধীর চৌধুরীকে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে হারাতেই শুভেন্দু অধিকারীকে মুর্শিদাবাদের দায়িত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুযায়ী কাজও করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেসের হাতে ছিল সব থেকে বেশি বিধায়ক। কিন্তু কার্যত শুভেন্দুর দাপটেই তারা এখন তৃণমূলে।
বিরোধিতা ছিল থাকবে
অধীর চৌধুরীর মুখে শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। এব্যাপারে অধীর চৌধুরী বলেন, তিনি ফালতু কথা বলার লোক নন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক বিরোধিতা ছিল, আছে, থাকবে।
শুভেন্দুর অরাজনৈতিক ভাবমূর্তি ঘুম কেড়েছে তৃণমূলের! অশনি সংকেত একুশের আগে