শুভেন্দু অনুগামী অপসারিত তৃণমূলে! অপসারিত দুই বিধায়ক-সহ পাঁচ ব্লক সভাপতিও
ফের কোপ পড়ল এক শুভেন্দু অনুগামনী ব্লক সভাপতির উপর। পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসে সংগঠনিক রদবদল সম্পন্ন হল। সেখানে ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হলেন পাঁচজন।
ফের কোপ পড়ল এক শুভেন্দু অনুগামনী ব্লক সভাপতির উপর। পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেসে সংগঠনিক রদবদল সম্পন্ন হল। সেখানে ব্লক সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হলেন পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে রয়েছে দুই বিধায়ক। আবার এক শুভেন্দু-অনুগামীও রয়েছেন অপসারিতের তালিকায়। যদিও প্রত্যেক অপসারিতকেই অন্য কোনও পদ দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের রদবদল নিয়ে ফের জল্পনার পারদ তুঙ্গে
তৃণমূলের এই রদবদল নিয়ে ফের জল্পনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। মঙ্গলবার যে নতুন জেলা কমিটি গোষিত হয়েছে, সেখানে এই চিত্র দেখে বিব্রত তৃণমূলের একাংশ। যদিও জেলা তৃণমূলের তরফে সাফ জানানে হয়েছে, বৃহত্তর কাজের স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের দলে সবাই যোগ্য। তা সত্ত্বেও এহেন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্দেশ্যেই।
বিশেষ উদ্দেশ্যে নিয়ে রদবদল তৃণমূলে
তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি অপসারিতদের প্রতি জানান, কেউ মনে করবেন না এটা কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। এটা বিশেষ একটা উদ্দেশ্যে নিয়ে করা হয়েছে। কারও পদ যাবে না। সবাই পদ পাবেন। উল্লেখ্য, এদিন দাঁতন ১, চন্দ্রকোনা ২, গড়বেতা ৩, মোহনপুর এবং মেদিনীপুর শহরের ব্লক সভাপতিকে পরিবর্তন করা হয়।
কোনও বিধায়ক আর ব্লক সভাপতি থাকবেন না
দাঁতনের বিধায়ক বিক্রম প্রধান ছিলেন দাঁতন ১-এর ব্লক সভাপতি। চন্দ্রকোনার ২-এর ব্লক সভাপতিও ছিলেন বিধায়ক ছায়া দোলুই। দুজনকেই অপসারিত করে নতুন সভাপতি করা হয়েছে যথাক্রমে প্রতুল দাস ও জগজিৎ সরকারকে। দলে সিদ্ধান্ত হয়েছে কোনও বিধায়ক আর ব্লক সভাপতি থাকবেন না।
শুভেন্দু অনুগামী অপসারিত, প্রশ্ন তৃণমূলে
মোহনপুরের সভাপতি প্রদীপ পাত্র ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী। তাঁকে সরিয়ে নতুন সভাপতি করা হয়েছে মানিক মাইতিকে। কেন শুভেন্দু অনুগামীকে অপসারিত করা হল, তা নিয়েই বেশি বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে গড়বেতা ৩-এর সভাপতি করা হয়েছে রাজীব ঘোষকে। দিলীপ দে-কে সরিয়ে মেদিনীপুর সদরের সভাপতি করা হয়েছে মুকুল সামন্তকে।
আরও রদবদল তৃণমূলে, ঘোষণা সভাপতির
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায় বয়সজনিত কারণে নিজেই সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তাঁর বয়স ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে। তাই তাঁকে জেলার সহ সভাপতি করা হয়েছে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে। এছাড়া শহরের সভাপতিও বদল করা হয়েছে। খড়গপুরের শহর সভাপতি এখনও বেছে নেওয়া সম্ভব হয়নি। খড়গপুরের শহর সভাপতিকে জেলা সহ সভাপতি করা হয়েছে।
প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনেই রদবদল
এদিন দলের নতুন জেলা কমিটি ঘোষণা করে করে অজিত মাইতি জানান, জেলা সহ সভাপতি করা হয়েছে ২১ জন। জেলার সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে ২৭ জনকে, সম্পাদক হয়েছেন ৩০ জন। জেলা কমিটির সদস্য করা হয়েছে ৩৭ জনকে। ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মেনেই এই রদবদল করা হয়েছে।
একুশের লক্ষ্যে রদবদল, সবাই মিলে কাজ
একুশের লক্ষ্যে এই রদবদল করা হয়েছে। আমরা সবাই মিলে কাজ করব। সবাই আমরা সব জায়গায় কাজ করতে প্রস্তুত। আমরা দিদির কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা জেলা কমিটিতেও কিছু নতুন মুখ নিয়ে আসব। কারণ আমরা বৃহত্তর লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে চলেছি। সেই লক্ষ্যপূরণ করতেই হবে।