'সিদ্ধান্ত' নিয়েই ফেলেছেন শুভেন্দু অধিকারী! বিধায়ক পদে ইস্তফার দিনক্ষণ নিয়ে জল্পনা
আস্তে আস্তে দুদশকের বেশি যে দলের সঙ্গে সম্পর্ক তা ছিন্ন হয়েছে। তবে এখনও বিধায়ক পদে তৃণমূলের নামটি রয়েছে শুভফেন্দু অধিকারীর( subhendu adhikari)। তিনি যে ধারার রাজনীতি করেন, তাতে নির্বাচনের অনেক আগেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন ধরেই নেওয়া যায়।
আস্তে আস্তে দুদশকের বেশি যে দলের সঙ্গে সম্পর্ক তা ছিন্ন হয়েছে। তবে এখনও বিধায়ক পদে তৃণমূলের নামটি রয়েছে শুভফেন্দু অধিকারীর( subhendu adhikari)। তিনি যে ধারার রাজনীতি করেন, তাতে নির্বাচনের অনেক আগেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দেবেন ধরেই নেওয়া যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী শুক্রবারই তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে পারেন। যা করলে তৃণমূলের (trinamool congress) তরফ থেকে অধিকারীর নীতি ও আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন তোলার আর কোনও জায়গা থাকবে না।
'ভাইপো' ওঁর আসল নাম! ফের অভিষেককে কটাক্ষ করে আর যা বললেন বাবুল সুপ্রিয়
আদর্শের জন্য লড়াই, বলেছিলেন গড়বেতায়
পান্তা খাওয়া, মুড়ি খাওয়া, গামছা পরা ছেলেটা আদর্শের জন্য লড়ছে, লড়বে। গড়বেতায় ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিবস পালনে ভাষণ দিতে গিয়ে এমনটাই বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি বাংলার সন্তান, ভারতের সন্তান। সাধারণ মানুষের থেকে ভবিষ্যতের জন্য সমর্থনও চেয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি আশীর্বাদ এবং দোয়া প্রার্থনা করেছিলেন।
একে একে সব সরকারি পদ ছেড়েছেন শুভেন্দু
শুভেন্দু
অধিকারী
বলেছিলেন,
তিনি
প্যারাশুটে
নামেননি,
লিফটেও
ওঠেননি।
ধাপে
ধাপে
তিনি
বর্তমান
রাজনীতির
আঙিনায়
এসেছেন।
যা
পাল্টা
হিসেবে
অভিষেক
বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেছিলেন,
তিনিও
প্যারাশুটে
নামেননি,
লিফটেও
ওঠেননি।
লিফটে
উঠলে
তিনি
৩৫
টি
পদের
অধিকারী
হতেন।
যদিও
শুভেন্দু
অধিকারীর
অনুগামীরা
প্রশ্ন
করছেন,
তাহলে
না
পঞ্চায়েত,
না
পুরসভা,
না
বিধায়ক
পদ,
কোথাও
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
না
করেই
একেবারে
লোকসভা
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করেছিলেন
অভিষেক।
অন্যদিকে,
কল্যাণ
বন্দ্যোপাধ্যায়
পদ
ধরে
রেখে
শুভেন্দু
অধিকারীর
মন্তব্য
করা
নিয়ে
প্রশ্ন
তুলেছিলেন।
শুভেন্দু
অধিকারীর
পরিবার
নিয়ে
আক্রমণ
করেছিলেন।
এরপরেই
গত
সপ্তাহের
বৃহস্পতিবার
হুগলি
রিভার
ব্রিজ
কমিশনের
চেয়ারম্যানের
পদ
থেকে
ইস্তফা
দেন
শুভেন্দু
অধিকারী।
এরপর
শুক্রবার
তিনি
মন্ত্রিত্ব
থেকে
ইস্তফা
দেন।
দায়িত্ব থেকে সরানো হয় শুভেন্দু অধিকারীকে
তার
আগে
অবশ্য
ছয়
জেলায়
পর্যবেক্ষকের
দায়িত্ব
থেকে
সরানো
হয়েছিল
শুভেন্দু
অধিকারীকে।
উত্তর
দিনাজপুর,
মালদহ,
মুর্শিদাবাদ,
পশ্চিম
মেদিনীপুর,
ঝাড়গ্রাম,
বাঁকুড়া,
মোট
ছয়
জেলার
পর্যবেক্ষকের
দায়িত্ব
ছিল
শুভেন্দুর
কাঁধে।
তৃণমূলে
শেষবার
সাংগঠনিক
রদবদলের
পরে
জেলা
পর্যবেক্ষকের
পদ
তুলে
দিয়ে
শুভেন্দু
অধিকারীর
থেকে
কার্যত
কেড়ে
নেওয়া
হয়,
পর্যবেক্ষকের
পদ।
বাঁকুড়ায়
গিয়ে
তৃণমূল
সুপ্রিমো
জানিয়ে
দেন,
তিনি
রাজ্যের
পর্যবেক্ষক।
বৃহস্পতিবার
সর্বশেষ
সিদ্ধান্তটি
নেয়
সরকারি
দল।
২০১৯-এর
ভোটের
পর
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়কে
সরিয়ে
শুভেন্দু
অধিকারীকে
বসানো
হয়েছিল
তৃণমূলের
কর্মচারী
ফেডারেশনের
মেন্টর
পদে।
কিন্তু
বর্তমান
পরিস্থিতি
বিবেচনা
করে
সব
জেলা
থেকে
কর্মচারী
ফেডারেশনের
নেতাদের
ডেকে
বৈঠকে
বসেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
তারপর
জানিয়ে
দেওয়া
হয়
কর্মচারী
ফেডারেশনের
মেন্টর
পদে
বসানো
হচ্ছে
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়কে।
রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করতে চলেছেন শুভেন্দু
তৃণমূল শিবির বারবারই বলছে রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করুন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, সেই অনুযায়ী, রবিবার সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তার আগেই বিধায়ক পদ ছেড়ে দিতে পারেন তিনি। সূত্রের আরও খবর, শুক্রবারই তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে বিধায়ক পদে পদত্যাগ পত্র তুলে দিতে পারেন তিনি।