তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত শুভেন্দুর 'ডান হাত'! পাপ মুক্ত হলাম, ব'লে মিষ্টি বিলি
তৃণমূল (trinamool congress) থেকে বহিষ্কার করা হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডাকে (kaniska panda)। এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন জেলার রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর (subhendu adhikari
তৃণমূল (trinamool congress) থেকে বহিষ্কার করা হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সম্পাদক কনিষ্ক পণ্ডাকে (kaniska panda)। এর আগে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন জেলার রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর (subhendu adhikari) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এই নেতা। রবিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে জেলা নেতৃত্বকে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি।
তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতা
তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করা হল পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতিতে শুভেন্দু অধিকারীর ডান হাত বলে পরিচিত কনিষ্ক পণ্ডাকে। রবিবার সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলা তৃত্বকে সে কথা জানিয়েও দিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। এদিক বহিষ্কার পর কনিষ্ক পণ্ডা বলেছেন, তিনি পাপ মুক্ত হলেন। মিষ্টিও বিলি করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাব মমতাকে, বলেছিলেন কনিষ্ক
২৪ ঘন্টা আগেই কনিষ্ক পণ্ডা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দলের সুপ্রিমোর উদ্দেশে তিনি বলেছিলেন, ত্যাগ শিখতে হলে আরএসএসএ-এৎ কাছ থেখে শিখুন। গেরুয়া পঞ্জাবি গায়ে কাঁথিতে শুভেন্,দু অধিকারীর সহায়তা কেন্দ্র খোলার সময় হাজির ছিলেন এই নেতা। তিনি বলেছিলেন বাংলার প্রত্যেকটা জায়গায় সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে। যাঁরা সমস্যা নিয়ে আসবেন, সাধ্যমত তাঁদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তিনি বলেছিলেন, দুয়ারে সরকারের থেকেও, বাংলায় এখন শুভেন্দু অধিকারীকে দরকার। তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু অধিকারী মানেই উন্নয়ন, শুভেন্দু অধিকারী মানেই অর্থনৈতিক উন্নতি। তিনি বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর চ্যাপ্টার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লোজ করে দিয়েছেন। মমতাদি এখন নিজের ভবিষ্যত দেখুন, বলেছিলেন কনিষ্ক। তিনি আরও বলেছিলেন, যতদিন পর্যন্ত দিদিকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরানো না হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাকে বাংলাদেশি বলে কটাক্ষ করেছিলেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারীকে খুনের চক্রান্ত করা হচ্ছে, অভিযোগ করেছিলেন কনিষ্ক
এর আগে কনিষ্ক পণ্ডা অভিযোগ করেছিলেন, শুভেন্দু অধিকারীকে খুনে চক্রান্ত করা হচ্ছে। রাজ্যপালের কাছে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আবেদন করার কথা বলেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি (শুভেন্দু) কোনও সাংবাদিক বৈঠক করবেন না। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী চক্রব্যুহ থেকে বেরোতে জানেন।
পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের
৪ ডিসেম্বর দলের সুপ্রমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে নির্দেশ দিয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠদের পদ থেকে অপসারণের জন্য। সেটি ছিল ভার্চুয়াল সভা। পাঁচ ডিসেম্বর সরিয়ে দেওয়া হয় কাঁথি, নন্দকুমার, নন্দীগ্রামের তৃণমূলের চার ব্লক সভাপতিকে। অপসারিত নেতারা জানিয়েছিলেন, তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই আছেন।