শুভেন্দুকে নেতা মানলেন তৃণমূল কংগ্রেসের হেভিওয়েটমন্ত্রী! রাজ্য রাজনীতিতে নয়া জল্পনা
শুভেন্দু অধিকারী (subhendu adhikari) দলের সম্পদ। তিনি তৃণমূলে আছে। ভবিষ্যতেও থাকবেন। এদিন হাবরার (habra) পুর এলাকায় উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে যোগ দিতে গিয়ে এমনটাই মন্তব্য করেছেন হাববার বিধায়ক তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (jyotopriya mallick)।


শুভেন্দু অধিকারী দলের নেতা
শুভেন্দু অধিকারী দলের নেতা। তিনি দলের সম্পদ। এদিন হাবরায় এমনটাই মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী তথা উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এদিন তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারী দলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। তিনি বলেন, আজও তিনি মন্ত্রী রয়েছেন।

পোস্টার মারছেন দিলীপ ঘোষের লোকেরা
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাম না করে কটাক্ষ করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, ওদের যে নেতা সব থেকে বেশি কথা বলেন, সন্দেহ হচ্ছে, তার লোকেরা বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীর ছবি দিয়ে আমরা দাদার অনুগামী বলে ফ্লেক্স লাগাচ্ছেন কোথাও কোথাও। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করেন, তাঁর কাছে খবর আছে কোথাও কোথাও তাঁরাই ফ্লেক্স তৈরি করে লাগাচ্ছেন।

দিলীপ ঘোষের মুখের চিকিৎসা দরকার
নাম না করে দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, তাঁর মুখের চিকিৎসা দরকার। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, তিনি এখন থেকে তাঁর (দিলীপ ঘোষ) নাম করে কোনও কথা বলবেন না।

সব সমস্যা মিটে গিয়েছে, ২ দিন আগে বলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়
এদিনই শুধু নয়, দুদিন আগেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ বনেই। কেননা সব সমস্যা মিটে গিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বরাবরই পজিটিভ জ্যোতিপ্রিয়
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বরাবরই পজিটিভ জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। অগাস্টের শেষ সপ্তাহেও তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা নস্যাৎ করেছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়ে সেই সময় তিনি বলেছিলেন, এরা একটা ফেসবুক পেয়েছে, যা পাচ্ছে দিয়ে যাচ্ছে। তিনি এব্যাপারে শিশির অধিকারীর বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন। সেই সময় শিশির অধিকারী বলেছিলেন, তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কোনও রাস্তা নেই বলেও উল্লেখ করেছিলেন শিশির অধিকারী।

শুভেন্দুকে নিয়ে সব থেকে বেশি সরব কল্যাণ
এই মুহুর্তে তৃণমূলের মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে সব থেকে বেশি সরব কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিন আগে তিনি নন্দীগ্রাম দিবসের দিনে শুভেন্দু অধিকারীর শরীরী ভাষা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন ছিল, সেদিন কাকে তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। তিনি (শুভেন্দু) কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন, প্রশ্ন করেছিলেন কল্যাণ। তৃণমূল সাংসদ আরও বলেছিলেন সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম সর্বত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই আন্দোলন হয়েছিল। পাশাপাশি দাবি করেছিলেন, ২০০৭-এর ১৫ মার্চ নন্দীগ্রামের জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ এনেছিলেন তিনিই। শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেছিলেন সেই সময় তৃণমূলের বড় নেতারা খাটের তলায় ঢুকে গিয়েছিলেন।
বিজেপিই শেষে তৃণমূলের রত্নার কথা ভেবেছে! শোভন-বৈশাখীর 'বিভাজন’ নিয়ে খোঁচা