রাজনীতির সম্পদ! শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসায় তৃণমূল বিধায়ক
রাজনীতির সম্পদ! শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসায় তৃণমূল বিধায়ক
২০২১-এর আগে সামনের দিনগুলিতে পিকের (prashant kishor) স্ট্র্যাটেজি না শুভেন্দু অধিকারী সফল হবেন, তা রাজ্য রাজনীতিতে বড় বিষয় হয়ে উঠতে চলেছে। এরই মধ্যে তৃণমূলের অনেক বিধায়কই ক্ষুব্ধ। তাঁরা নিজেদের মতো করে মত প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্ত (silbhadra dutta)। তিনি একদিকে যেমন শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা করেছেন। অন্যদিকে, পিকের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।
প্রশান্ত কিশোরের স্ট্র্যাটেজির সমালোচনায় শীলভদ্র
বাংলার রাজনীতিতে পিকের স্ট্র্যাটেজি যথার্থ নয়। ব্যারাকপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই মন্তব্য করেছেন ব্যারাকপুরের দুইবারের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। দলের বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে শীলভদ্র দত্তের অভিযোগ, আবেগকে বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, কেরল ও বাংলায় আবেগ দিয়ে রাজনীতিটা হয়। ব্যারাকপুরের বিধায়ক বলেন, গোবলয়ের জাতপাতের রাজনীতি আমদানি করা হচ্ছে রাজ্যে। দলের পরামর্শ দাতা প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে বাজারি কোম্পানি বলে আক্রমণ করেন শীলভদ্র দত্ত। ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ভাড়া করা সংস্থা রাজনৈতিক জ্ঞান দিচ্ছে, রাজনীতির পাঠ দিচ্ছে।
শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসা
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত । শুভেন্দু অধিকারী রাজনীতির সম্পদ, বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ব্যারাপকপুরের তৃণমূল বিধায়ক আরও বলেন, ও কোন দলের সম্পদ কি না জানি না, তবে আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারী রাজনীতির সম্পদ। শুভেন্দুর প্রতি দল যত্নবান হবে কি না, তা দলের নেতারা ঠিক করবেন, মন্তব্য করেছেন তিনি।
সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতে ওপরে
শীলভদ্র দত্ত বলেন, তিনি দলের কোন বড় নেতা নন। তিনি আরও বলেন, শুভেন্দু ঠিকই বলেছে, ও তো উড়ে এসে জুড়ে বসেনি । অনেক সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত নন্দীগ্রামে বিজয়া সম্মিলনীতে তিনি বলেছিলেন, প্যারাসুটে নামেননি, লিফটে ওঠেননি। সিঁড়ি ভাঙতে ভাঙতেই ওপরের দিকে ওঠেছেন। তিনি বলেছিলেন ১৯৮৮ সালে কলেজ রাজনীতি দিয়ে শুরু। আর ১৯৯৫ সালে পুরসভার কাউন্সিলর হয়ে রাজনীতির ময়দানে এসেছিলেন। এপ্রসঙ্গে শীলভদ্র দত্ত নিজের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনিও সিঁড়ি ভেঙেই বর্তমান অবস্থানে বলে জানিয়েছেন।
২০২১-এ তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াবেন না
ব্যারাকপুরে তিনি জানিয়ে দেন ২০২১-এর নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াচ্ছেন না। মাস দেড়েক আগে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ২০২১-এ ব্যারাকপুরে নতুন প্রার্থী আসবে। শীলভদ্র দত্ত বলেছিলেন, ১০ বছর তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে থেকেছেন। কিন্তু অনেক কিছুই করতে পারেননি। তা তাঁর অপদার্থতা। শীলভদ্র দত্তের কথা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে, দল কি তাঁকে বলে দিয়েছে, যে আর টিকিট দেওয়া হবে না। তবে রাজনৈতিক মহলের মত হল, যেভাবে তিনি প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাকের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন, তাতে পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, তাঁরাই হয়তো শীলভদ্র দত্তকে বাদ দেওয়ার ইঙ্গিত করেছেন।
শুভেন্দু প্রশংসায় ভরালেন রাজ্যের মন্ত্রী! ২০২১-এর ভোটের আগে জল্পনা