শুভেন্দুর কি মানভঞ্জন হল দ্বিতীয় বৈঠকে, সৌগতর দেড়ঘণ্টার বৈঠকের নির্যাস কী
টানা দেড় ঘণ্টার বৈঠকেও জট কাটল না, মানভঞ্জন হল না শুভেন্দু অধিকারীর। হাইভোল্টেজ বৈঠকের ফল হল বিগ জিরো। তাহলে শুভেন্দু অধিকারী এখন কোন পথ নেবেন? তা নিয়ে ফের জল্পনার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।
টানা দেড় ঘণ্টার বৈঠকেও জট কাটল না, মানভঞ্জন হল না শুভেন্দু অধিকারীর। হাইভোল্টেজ বৈঠকের নিট ফল হল বিগ জিরো। তাহলে শুভেন্দু অধিকারী এখন কোন পথ নেবেন? তা নিয়ে ফের জল্পনার বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে সমালোচিত হচ্ছ তৃণমূলের দ্বিমুখী নীতিও। তৃণমূল একদিকে তাঁকে ফেরাতে সৌগত রায়কে দায়িত্ব দিয়েছেন, অন্যদিকে কল্যাণকে নিয়ে আক্রমণ শানাচ্ছেন।
তৃণমূলের দোরখা নিয়মের কঠোর সমালোচনা
সৌগত রায় যখন শুভেন্দুকে তৃণমূলে সক্রিয় করতে বৈঠক করছেন একের পর এক, তখন নরম বার্তা দিচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন্দুশেখর রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার প্রমুখ। তাহলে কেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন। তৃণমূলের এই দোরখা নিয়মের কঠোর সমালোচনা হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।
রুদ্ধদ্বার বৈঠক শুভেন্দু ও সৌগতর, ফল কী
সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর কলকাতার একটি জায়গায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শুভেন্দু ও সৌগত। তাঁদের বৈঠকের নির্যাস নিয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি। তবে বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আদতে কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। কোনও ইতিবাচক ফল মেলেনি। মুখে কুলুপ এঁটেছেন দু-পক্ষই। উভেয়ে মুখে কিছু না বলায় এখনও চেষ্টা জারি রয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
পরিবহণ দফতরে শুভেন্দু, চলতি সপ্তাহে ফের বৈঠক
উল্লেখ্য, এদিন পরিবহণ দফতরে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। পরিবহণমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দফতরে কাজ সারার পর তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে বৈঠকস্থানে যান বলে সূত্রের খবর। তবে বৈঠকের আগে যেমনটা মনে হচ্ছিল, বৈঠকের পরে সে অর্থে ইতিবাচক কিছু ঘটেনি। পরিস্থিতি যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে ফের বৈঠকে বসতে পারেন তাঁরা।
শুভেন্দুর মান ভাঙাতে রাস্তা ঠিক করবেন মমতা
শুভেন্দুর সঙ্গে দীর্ঘদিন মান-অভিমানের পালা চলছে তৃণমূলের। সেই মান-অভিমান ভুলে এত সহজে শুভেন্দু সমস্যা মিটবে, তা কেউ ভাবেননি। এই জট কাটতে একটু সময় নেবে। উভয়পক্ষকেই একটা মধ্যস্থ অবস্থান নিতে হবে। কেননা শুভেন্দু যদি পুরনো জেলাগুলির দায়িত্ব চান, সেটা তো দেওয়া সম্ভব নয়, কারণ সেই পদটাই তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে শুভেন্দুকে আরও গুরুত্বের কোনও আসনে বসানো যেতেই পারে। তা ঠিক করবেন দিদি।